ফরিদপুরে ডিএনএস স্যালাইনের দাম নিয়ন্ত্রণে ফার্মেসীতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় মূল্য বেশির রাখার দায়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন ফার্মেসী সমূহে অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ এর নেতৃত্বে বেলা এগারোটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অধিদপ্তরটির জেলা সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ জানায়, আজকের অভিযানে তাদের তদারকি টিমের একজন সদস্যকে ১০০০ এমএল ডিএনএস স্যালাইন ক্রয় করতে মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন মেসার্স ফাতেমা হাউসে পাঠানো হয়। স্যালাইনের ধার্য মূল্য ১০০.৮৯ টাকা হলেও উক্ত সদস্যের কাছ থেকে ১২০ টাকা নেন। পরবর্তীতে দোকানে অভিযান পরিচালনায় ফার্মেসীর মালিক দুলাল মিয়াকে বেশি মূল্য নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি স্যালাইনের সরবরাহ ও সংকটের কথা বলেন। পরে ফার্মেসির মালিক স্যালাইন এর দাম বেশি নেয়ার অপরাধ স্বীকার করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১৫,০০০ টাকা জরিমানা আরোপ এবং ড্রাগ সমিতির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ফার্মেসীতে অভিযান পরিচালনা করা হলেও স্যালাইনের দাম বেশি নেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এসময় জেলা পুলিশের ১টি টিম, সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের জনাব মোঃ শাহাদাত হোসেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ইউসুফ মিয়া এবং ড্রাগ সমিতি ও সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এছাড়াও সকাল ১০টায় হাজী শরীয়তউল্লাহ বাজারে আলুর পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পাকা ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ ও মূল্য তালিকা হালনাগাদ টানানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদেরকে বিশেষভাবে সচেতন করা হয়েছে।