ঢাকা ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় অন্ধত্ববরণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন খানসামায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৫ জনসহ ৭ জন গ্রেপ্তার ডুমুরিয়ায় আপন মেজ ভাইকে খুনের ঘটনায় নেশাখোর ছোট ভাই সোহান গ্রেফতার শহিদুল ইসলামের দলীয় পদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় সালথায় আনন্দ মিছিল আত্রাইয়ে নবাগত ইউএনও’কে  কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের শুভেচ্ছা প্রদান  সালথায় জমি নিয়ে বিরোধে কৃষকের বাড়িতে আগুন দিল প্রতিপক্ষ বিরামপুরে ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে ও ভুয়া টিসিবির কার্ড বিতরণের দায়ে অর্থদণ্ড পাইকগাছায় মটরসাইকেল-বাইসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নি-হ-ত-১  ডুমুরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেঝ ভাইকে কু‌পি‌য়ে হত্যা ক‌রে‌ছে ছোট ভাই

ফরিদপুরের সদরপুরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলায় মাটিতে নুয়ে পড়া রোপা আমন ধান

সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৭:১১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ৩০১ বার পঠিত

চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনে ফরিদপুরের সদরপুরের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছিল । কিন্তু সেই হাসিতে বাঁধ সেধেছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলা। গত দু’দিনে মিধিলার ঝড়োবৃষ্টিতে পাকা আমন ধানের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিশেষ করে যে ধান এখনও ক্ষেতেই রয়ে গেছে, কেটে ঘরে তোলা হয়নি। উপজেলার মটুকচর, মজুমদার বাজার, খেজুরতলা চৈতার কোল, ঢেউখালী এলাকায় সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে এই প্রতিবেদক দেখেন, অনেক ক্ষেতের ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। অনেকে পাকা ধান কেটে ক্ষেতেই রেখে দিয়েছেন, কাটা ধান অকাল বৃষ্টির পানিতে ভিজে রয়েছে।

মটুকচরের কৃষক বাতেন মুন্সী জানান, আমি ৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন করেছি। মিধিলায় আমার ক্ষেতের কিছু পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। আশেপাশের অনেকের ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া ধানে পুষ্টতা আসে না। বেশিরভাগ চিটা হয়ে যায়। এটাই চিন্তার কারণ।

উপজেলার মজুমদার বাজার গ্রামের কৃষক সায়াদ জানান যে তার জমিতে নামিতে ধান রোপন করা হয়েছিল। আর দশ বারো দিন গেলে পুরোপুরি পেকে যেত। এই অবস্থায় দুইদিনের ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষেতের কিছু ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। ক্ষতি যা হবার তাতো এড়ানো যাবে না।ঢেউখালী গ্রামের হাসান জানান, তারও কিছু পাকা ধান নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া ধান ঘরে তুলতে খরচ বেড়ে যায়। সাধারণত যেখানে ৪টা কৃষাণ (লেবার) লাগে, নুয়ে পড়া ধান কাটতে ৬টা লাগে।

এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার ইসমাইল শরীফ জানান চলতি মৌসুমে সদরপুর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে মোট ৬২৯১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে৷ অনুকুল আবহাওয়া, সময়মতো সার ও বীজ বপন, সঠিক পরিচর্চার কারণে আশানুরূপ ফলন হয়েছে। লক্ষমাত্রা পূরণ হবার পথেই ছিল। কিন্তু প্রকৃতির উপর কারও হাত নেই। ঘূর্ণিঝড় মিধিলার কারণে ক্ষেতে থাকা ১০ শতাংশ পাকা ধানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা। যদি আর বৃষ্টি না হয় তবে বাকী ধান ঠিকমতো তুলতে পারবে এবং কৃষকদের সামান্য ক্ষতি হলেও তেমন প্রভাব পড়বে না।

ফরিদপুরের সদরপুরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলায় মাটিতে নুয়ে পড়া রোপা আমন ধান

আপডেট সময় : ০৭:১১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনে ফরিদপুরের সদরপুরের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছিল । কিন্তু সেই হাসিতে বাঁধ সেধেছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলা। গত দু’দিনে মিধিলার ঝড়োবৃষ্টিতে পাকা আমন ধানের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিশেষ করে যে ধান এখনও ক্ষেতেই রয়ে গেছে, কেটে ঘরে তোলা হয়নি। উপজেলার মটুকচর, মজুমদার বাজার, খেজুরতলা চৈতার কোল, ঢেউখালী এলাকায় সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে এই প্রতিবেদক দেখেন, অনেক ক্ষেতের ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। অনেকে পাকা ধান কেটে ক্ষেতেই রেখে দিয়েছেন, কাটা ধান অকাল বৃষ্টির পানিতে ভিজে রয়েছে।

মটুকচরের কৃষক বাতেন মুন্সী জানান, আমি ৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন করেছি। মিধিলায় আমার ক্ষেতের কিছু পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। আশেপাশের অনেকের ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া ধানে পুষ্টতা আসে না। বেশিরভাগ চিটা হয়ে যায়। এটাই চিন্তার কারণ।

উপজেলার মজুমদার বাজার গ্রামের কৃষক সায়াদ জানান যে তার জমিতে নামিতে ধান রোপন করা হয়েছিল। আর দশ বারো দিন গেলে পুরোপুরি পেকে যেত। এই অবস্থায় দুইদিনের ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষেতের কিছু ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। ক্ষতি যা হবার তাতো এড়ানো যাবে না।ঢেউখালী গ্রামের হাসান জানান, তারও কিছু পাকা ধান নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া ধান ঘরে তুলতে খরচ বেড়ে যায়। সাধারণত যেখানে ৪টা কৃষাণ (লেবার) লাগে, নুয়ে পড়া ধান কাটতে ৬টা লাগে।

এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার ইসমাইল শরীফ জানান চলতি মৌসুমে সদরপুর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে মোট ৬২৯১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে৷ অনুকুল আবহাওয়া, সময়মতো সার ও বীজ বপন, সঠিক পরিচর্চার কারণে আশানুরূপ ফলন হয়েছে। লক্ষমাত্রা পূরণ হবার পথেই ছিল। কিন্তু প্রকৃতির উপর কারও হাত নেই। ঘূর্ণিঝড় মিধিলার কারণে ক্ষেতে থাকা ১০ শতাংশ পাকা ধানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা। যদি আর বৃষ্টি না হয় তবে বাকী ধান ঠিকমতো তুলতে পারবে এবং কৃষকদের সামান্য ক্ষতি হলেও তেমন প্রভাব পড়বে না।