ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে

প্রার্থীর পক্ষে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সূচক তালিকায় স্বাক্ষর ও টিপসই থাকলেও মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয় বলে অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী- মান্নান মুসল্লীর

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:১৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮২ বার পঠিত

রাজবাড়ীতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর গত ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল সোমবার।মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ের এ দিনে রাজবাড়ী ১ ও ২ আসনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর হেভিওয়েট স্বতন্ত্র ৫ জন সহ ৭ জনের মনোনয়ন পত্র গড়মিলের কারনে বাদ করে দেয় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান। স্বতন্ত্র এ তালিকায় মো. আ. মান্নান মুসল্লীর মনোনয়ন পত্রটিও তথ্যে গড়মিল ও প্রার্থীর প্রার্থীতার পক্ষে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সূচক তালিকায় স্বাক্ষর ও টিপসই না থাকায় তা বাতিল বলে গন্য করে।

যে বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আ. মান্নান মুসল্লীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে, প্রার্থী স্বয়ং সে এক শতাংশ ভোটারদের হাজির করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি।এসময় তিনি অভিযোগ করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা যে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও টিপসই পাওয়া যায়নি বলে বাতিল করেছেন, কিন্তু এর মধ্যে তিন জনের বাড়িতে গিয়ে তথ্য আনতে গেলেও বাকী আরো ৫/৬ জনের বাড়িতে যাননি বলে অভিযোগ করেন।যে তিন জনের বাড়িতে তথ্য আনতে যান তাদের সমর্থন, স্বাক্ষর ও টিপসই তারা মান্নান মুসল্লীর পক্ষে করেছেন বলে সাংবাদিকদের বক্তব্য দেন।বাকী আরো ৫/৬ জনের বাড়িতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কোন সদস্য মান্নান মুসল্লীর পক্ষে ভোটারদের সমর্থন সূচক স্বাক্ষর বা টিপসই দেওয়া হয়েছে কিনা তা যাচাই বাছাই করতে যায়নি কেউ। জেলা রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরযুক্ত যাদের নাম উল্লেখ করে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তাদের ভোটার তালিকায় থাকা ক্রমিক নম্বর ও ভোটার নম্বরে নেই কোন মিল। এর মধ্যে বণ্যা রানী শীলের ভোটার তালিকায় ১৩৭৪ ক্রমিক নম্বরে ভোটার নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে ৮২০৩৭৬০০০০১১। কিন্তু প্রকৃত ভোটার নম্বর হবে ৮২০৩৭৭২২৮২৯৮। ফরিদা পারভিনের ভোটার তালিকার ক্রমিক নম্বর ২৪১৪ এবং যার ভোটার মম্বর দেওয়া হয়েছে ৮২০ ৩৭৯ ২২৪ ৯৭৩। অথচ এর প্রকৃত ভোটার নম্বর হবে ৮২০ ৩৭৪ ২২৯ ২৮৪। ফরহাদ শেখের ভোটার তালিকার ক্রমিক নম্বর ৩৯৮৯ এর ভোটার নম্বর দেওয়া হয়েছে ৮২০ ৩৬৯ ২২২ ৫৩২, কিন্তু এই ভোটারের সঠিক প্রকৃত ভোটার নম্বর হবে ৮২০ ৩৬৯ ২২৩ ৪৪২। ভোটার নাসিমা জানান, মান্নান মুসল্লীর মনোনয়ন সমর্থনের পক্ষে স্বাক্ষর বা টিপসই দিলেও তা যাচাই করতে আমার বাড়ি বা আমাকে কেউ ফোন করেনি।

এভাবে ৫/৬ জনের যে নাম,ভোটার ক্রমিক নং ও ভোটার নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে এখানে জেলা রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত মনোনয়ন পত্র বাতিল তালিকায় অসংগতি পাওয়া যায় বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.আ.মান্নান মুসল্লী অভিযোগ করেন।

বাতিল হওয়া প্রার্থী মো. আ. মান্নান মুসল্লী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক তাকে যেভাবে মনোনয়ন বাতিল করেছে তা বিধি সম্মত ভাবে করেনি বলে জানান।এ বিষয়ে তিনি নির্বান কমিশনে আপিল আবেদন করবেন এবং তার প্রার্থীতা ফিরে পাবেন বলে মনে করেন।

এ বিষয়ে প্রশাসনিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস :

প্রার্থীর পক্ষে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সূচক তালিকায় স্বাক্ষর ও টিপসই থাকলেও মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয় বলে অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী- মান্নান মুসল্লীর

আপডেট সময় : ০৫:১৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজবাড়ীতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর গত ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল সোমবার।মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ের এ দিনে রাজবাড়ী ১ ও ২ আসনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর হেভিওয়েট স্বতন্ত্র ৫ জন সহ ৭ জনের মনোনয়ন পত্র গড়মিলের কারনে বাদ করে দেয় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান। স্বতন্ত্র এ তালিকায় মো. আ. মান্নান মুসল্লীর মনোনয়ন পত্রটিও তথ্যে গড়মিল ও প্রার্থীর প্রার্থীতার পক্ষে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সূচক তালিকায় স্বাক্ষর ও টিপসই না থাকায় তা বাতিল বলে গন্য করে।

যে বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আ. মান্নান মুসল্লীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে, প্রার্থী স্বয়ং সে এক শতাংশ ভোটারদের হাজির করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি।এসময় তিনি অভিযোগ করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা যে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও টিপসই পাওয়া যায়নি বলে বাতিল করেছেন, কিন্তু এর মধ্যে তিন জনের বাড়িতে গিয়ে তথ্য আনতে গেলেও বাকী আরো ৫/৬ জনের বাড়িতে যাননি বলে অভিযোগ করেন।যে তিন জনের বাড়িতে তথ্য আনতে যান তাদের সমর্থন, স্বাক্ষর ও টিপসই তারা মান্নান মুসল্লীর পক্ষে করেছেন বলে সাংবাদিকদের বক্তব্য দেন।বাকী আরো ৫/৬ জনের বাড়িতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কোন সদস্য মান্নান মুসল্লীর পক্ষে ভোটারদের সমর্থন সূচক স্বাক্ষর বা টিপসই দেওয়া হয়েছে কিনা তা যাচাই বাছাই করতে যায়নি কেউ। জেলা রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরযুক্ত যাদের নাম উল্লেখ করে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তাদের ভোটার তালিকায় থাকা ক্রমিক নম্বর ও ভোটার নম্বরে নেই কোন মিল। এর মধ্যে বণ্যা রানী শীলের ভোটার তালিকায় ১৩৭৪ ক্রমিক নম্বরে ভোটার নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে ৮২০৩৭৬০০০০১১। কিন্তু প্রকৃত ভোটার নম্বর হবে ৮২০৩৭৭২২৮২৯৮। ফরিদা পারভিনের ভোটার তালিকার ক্রমিক নম্বর ২৪১৪ এবং যার ভোটার মম্বর দেওয়া হয়েছে ৮২০ ৩৭৯ ২২৪ ৯৭৩। অথচ এর প্রকৃত ভোটার নম্বর হবে ৮২০ ৩৭৪ ২২৯ ২৮৪। ফরহাদ শেখের ভোটার তালিকার ক্রমিক নম্বর ৩৯৮৯ এর ভোটার নম্বর দেওয়া হয়েছে ৮২০ ৩৬৯ ২২২ ৫৩২, কিন্তু এই ভোটারের সঠিক প্রকৃত ভোটার নম্বর হবে ৮২০ ৩৬৯ ২২৩ ৪৪২। ভোটার নাসিমা জানান, মান্নান মুসল্লীর মনোনয়ন সমর্থনের পক্ষে স্বাক্ষর বা টিপসই দিলেও তা যাচাই করতে আমার বাড়ি বা আমাকে কেউ ফোন করেনি।

এভাবে ৫/৬ জনের যে নাম,ভোটার ক্রমিক নং ও ভোটার নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে এখানে জেলা রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত মনোনয়ন পত্র বাতিল তালিকায় অসংগতি পাওয়া যায় বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.আ.মান্নান মুসল্লী অভিযোগ করেন।

বাতিল হওয়া প্রার্থী মো. আ. মান্নান মুসল্লী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক তাকে যেভাবে মনোনয়ন বাতিল করেছে তা বিধি সম্মত ভাবে করেনি বলে জানান।এ বিষয়ে তিনি নির্বান কমিশনে আপিল আবেদন করবেন এবং তার প্রার্থীতা ফিরে পাবেন বলে মনে করেন।

এ বিষয়ে প্রশাসনিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।