ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম

প্রশংসা পত্রে খরচ ২০ টাকা আদায় ২০০ টাকা

সিরাজুল ইসলাম- গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী):
  • আপডেট সময় : ০৩:৩২:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪ ২১ বার পঠিত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ‘গোয়ালন্দ প্রপার হাইস্কুলে’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মার্কশিট (ট্রান্সক্রিপ্ট) প্রতি দু’বার করে ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে ১৫ থেকে ২০ টাকা খরচে তৈরি প্রশংসাপত্রের বিপরীতে জন্য ২০০ টাকা আদায় করারও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষাবোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, সব শিক্ষার্থীর সনদপত্র ও মার্কসিটের (ট্রান্সক্রিপ্ট) ফি বোর্ড পরীক্ষার পূর্বে ফরম পূরণের সময়ে আদায় করা হয়। এছাড়া গোয়ালন্দের সরকারি স্কুলগুলো থেকে কোন অর্থ আদায় না করলেও এই স্কুল থেকে অর্থ
আদায়ের বিষয়টিকে অপরাধ বলছেন অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টরা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র বাবদ ২০০ টাকা আদায় করা হয়।
তবে কিছু কিছু ছাত্র আরও বেশি ফি আদায়ের অভিযোগ করেন। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২১০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। সেই হিসাবে প্রায় ৪২ হাজার টাকা শুধু এখান থেকে আদায় করা হবে। এছাড়া এই স্কুলে নির্দিষ্ট বাংলা ও ইংরেজি গ্রামার ছাত্র ছাত্রীদের নির্ধারন করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই স্কুলের নির্দিষ্ট একজন ইংরেজি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাইভেট বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক প্রদীপ কুমার বলেন, এখানে আমার সন্তান দুই বছর পড়াশোনা করেছে ইংরেজি শিক্ষক টপি স্যার ক্লাস রুমে ছাত্র ছাত্রীদের নিজের কার্ড বিলি করে

নিপা নামে এক ছাত্রী বলেন, আমি পাঁচ বছর এই স্কুলে পড়েছি, এখানে ছাত্র ছাত্রী বেশি হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষক প্রাইভেট পড়ানোর উপর জোর দেন তাছাড়া আমরা থাকতে এমন সব গ্রামার সাজেস্ট করা হয় টাকা খেয়ে যা ছাত্র ছাত্রীর কোন কাজে আসে না। যে কারণে বছরের পর বছর পরীক্ষার ফলাফল খুব খারাপ।

এসব নানা অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়ালন্দ প্রপার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এসএসসি ট্রান্সক্রিপ্ট (মার্কশিট) ও প্রশংসাপত্র নিতে শিক্ষার্থীদের ফি দিতে হচ্ছে, এটা সত্য। তবে এই ফি আদায়ের নিয়ম অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। এই টাকা কর্মচারীদের মাঝে যারা কাজ করে দেওয়া হয়। তবে অনেকেই এই টাকা না দিয়েই এগুলো নিয়ে যায়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, প্রশংসা পত্রের জন্য অল্প কিছু অর্থ নেয় সব স্কুলে কিন্তু মার্কশীট বা সার্টিফিকেটের টাকা ফরম পূরনের সময় নিয়ে নেওয়া হয়। ছাত্র ছাত্রীদের বাধ্যতামুলক প্রাইভেট পড়ানো অন্যায় আমাদের কাছে অভিযোগ করলে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

প্রশংসা পত্রে খরচ ২০ টাকা আদায় ২০০ টাকা

আপডেট সময় : ০৩:৩২:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ‘গোয়ালন্দ প্রপার হাইস্কুলে’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মার্কশিট (ট্রান্সক্রিপ্ট) প্রতি দু’বার করে ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে ১৫ থেকে ২০ টাকা খরচে তৈরি প্রশংসাপত্রের বিপরীতে জন্য ২০০ টাকা আদায় করারও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষাবোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, সব শিক্ষার্থীর সনদপত্র ও মার্কসিটের (ট্রান্সক্রিপ্ট) ফি বোর্ড পরীক্ষার পূর্বে ফরম পূরণের সময়ে আদায় করা হয়। এছাড়া গোয়ালন্দের সরকারি স্কুলগুলো থেকে কোন অর্থ আদায় না করলেও এই স্কুল থেকে অর্থ
আদায়ের বিষয়টিকে অপরাধ বলছেন অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টরা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র বাবদ ২০০ টাকা আদায় করা হয়।
তবে কিছু কিছু ছাত্র আরও বেশি ফি আদায়ের অভিযোগ করেন। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২১০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। সেই হিসাবে প্রায় ৪২ হাজার টাকা শুধু এখান থেকে আদায় করা হবে। এছাড়া এই স্কুলে নির্দিষ্ট বাংলা ও ইংরেজি গ্রামার ছাত্র ছাত্রীদের নির্ধারন করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই স্কুলের নির্দিষ্ট একজন ইংরেজি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাইভেট বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক প্রদীপ কুমার বলেন, এখানে আমার সন্তান দুই বছর পড়াশোনা করেছে ইংরেজি শিক্ষক টপি স্যার ক্লাস রুমে ছাত্র ছাত্রীদের নিজের কার্ড বিলি করে

নিপা নামে এক ছাত্রী বলেন, আমি পাঁচ বছর এই স্কুলে পড়েছি, এখানে ছাত্র ছাত্রী বেশি হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষক প্রাইভেট পড়ানোর উপর জোর দেন তাছাড়া আমরা থাকতে এমন সব গ্রামার সাজেস্ট করা হয় টাকা খেয়ে যা ছাত্র ছাত্রীর কোন কাজে আসে না। যে কারণে বছরের পর বছর পরীক্ষার ফলাফল খুব খারাপ।

এসব নানা অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়ালন্দ প্রপার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এসএসসি ট্রান্সক্রিপ্ট (মার্কশিট) ও প্রশংসাপত্র নিতে শিক্ষার্থীদের ফি দিতে হচ্ছে, এটা সত্য। তবে এই ফি আদায়ের নিয়ম অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। এই টাকা কর্মচারীদের মাঝে যারা কাজ করে দেওয়া হয়। তবে অনেকেই এই টাকা না দিয়েই এগুলো নিয়ে যায়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, প্রশংসা পত্রের জন্য অল্প কিছু অর্থ নেয় সব স্কুলে কিন্তু মার্কশীট বা সার্টিফিকেটের টাকা ফরম পূরনের সময় নিয়ে নেওয়া হয়। ছাত্র ছাত্রীদের বাধ্যতামুলক প্রাইভেট পড়ানো অন্যায় আমাদের কাছে অভিযোগ করলে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।