ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেবহাটায় মাছের পাশাপাশি ভেঁড়িতে অসময়ে তরমুজ চাষে স্বাবলম্বী গোলাম রব্বানী তথ্যমেলায় মুজিববর্ষের লিফলেট ও শেখ হাসিনার বাণী প্রচার: আগামীকাল খানসামায় আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বালিয়াকান্দিতে উপজেলা পর্যায়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন পাইকগাছায় বিপুল পরিমাণ পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জাল জব্দ পাইকগাছার গদাইপুরে গনশুনানী অনুষ্ঠিত জনগণের আস্থা পেলে ধানের শীষের জয় সুনিশ্চিত: ডাঃ এ জেড এম জাহিদ টঙ্গি ইজতেমা হামলার প্রতিবাদে হিলিতে সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ৩১দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে সাহাগোলা ইউনিয়ন বিএনপি’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চারঘাটে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি ইসরাইল, সম্পাদক সুজন

প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত রংপুর

শিল্পী আক্তার-রংপুর :
  • আপডেট সময় : ১১:১৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ ২২৪ বার পঠিত

তিস্তা, ধরলা আর ব্রহ্মপুত্রের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্মভূমি রংপুর যেন সেজেছে নবরূপে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ঘিরে উচ্ছ্বাসের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে বিভাগ জুড়ে। সড়ক ও মহাসড়কে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রঙিন ব্যানার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পাড়া মহল্লা থেকে অলিগলি।
বর্ণিল আলোকসজ্জা ও রং-তুলির আঁচড়ে নতুন সাজে সেজেছে রংপুর।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সর্বশেষ রংপুরের তারাগঞ্জ ও পীরগঞ্জ উপজেলায় দুটি নির্বাচনী জনসভায়
উপস্থিত থেকে ভাষণ দিয়েছিলেন।

এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত জনসভায় ভাষন দেন।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই সফরে দলের তৃণমুলের নেতাকর্মীরা আরও উজ্জীবিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে ইতোমধ্যে একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছে কেন্দ্রীয়, জেলা, মহানগর ও অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতারা।

পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণার চালাচ্ছেন। তাদের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর এই সমাবেশে দশ লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটবে। দীর্ঘ প্রায় পাঁচবছর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে যেন বইছে অনেকটাই উৎসবের আমেজ।

সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চলছে সৌন্দর্য্যবর্ধণের কাজ। সড়কপথের পাশের দেয়ালগুলোতে চলছে রংয়ের কাজ, ফুটপাতে রং, ভাঙা সড়ক সংস্কার, পথের ধুলা বালি সরানোর কাজও চলছে জোরেশোরে। সৌন্দর্য্য বর্ধন করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল, সার্কিট হাউস ও আশে পাশের এলাকা।

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাসহ কয়েকজন মন্ত্রী রংপুরে উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, তদারকি করছেন।
সার্বিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রশাসনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হচ্ছে।
সুদূর গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া থেকে এসেছেন শেখ মোহাম্মদ ইলিয়াস। জাতীয় পতাকার আদলে তৈরি পোশাক আর মাথায় নৌকা প্রতীক নিয়ে ঘুরছেন। হ্যান্ড মাইকে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তুলে ধরে চালাচ্ছেন প্রচারণা।
ইলিয়াস বলেন, বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে যেসব উন্নয়ন হয়েছে তা সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরতে বিভিন্ন জনসভায় আমরা যোগ দেই। এবারও রংপুরে এসেছি।
রংপুর মহানগর অটো শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীও প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে উজ্জ্বীবিত।
জাতীয় পতাকার আদলে তৈরি পোশাক আর মাথায় নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রচারণার নেমেছেন।

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে বরণ করতে প্রস্তুত রংপুরের সাধারণ মানুষ। এই জনসভায় দশ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাবুল বলেন, ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর সফরে এসে এই অঞ্চলের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন। রংপুরের পুত্রবধূ হিসেবে তিনি কথা রেখেছেন।
তার কাছে আমাদের নতুন করে চাওয়ার কিছু নেই। এক সময় রংপুর মঙ্গাপীড়িত এলাকা ছিল। এখন মঙ্গা নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় সেটা এই জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেবেন।
এদিকে রংপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ। মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দসহ দ্রুত কাজ শুরুর দাবি জানানো হয়।
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রংপুর মহানগরীর সিটি বাজার এলাকা থেকে আনন্দ মিছিলটি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মিছিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার, প্লাকার্ড ও পোস্টার প্রদর্শন করা হয়। একই সঙ্গে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি তুলে ধরে স্লোগান দেন তিস্তাপাড়ের মানুষ। মিছিলে তিস্তা নদী বেষ্টিত রংপুরের গঙ্গাচড়া, পীরগাছা, কাউনিয়া উপজেলা ছাড়াও নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা থেকে লোকজন অংশ নেন।
মিছিল শেষে টাউন হল চত্বরের উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নদী ভাঙনের শিকার হওয়া তিস্তাপাড়ের মানুষসহ পরিষদের নেতাকর্মীরা।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রংপুর মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, বিগত সময়ে প্রধানমন্ত্রী নিজ দায়িত্বে এই এলাকার উন্নয়ন করেছেন। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের থেকে এখনও রংপুর কিছু কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা, মর্ডান মোড় থেকে পাগলাপীর পর্যন্ত বাইপাস মহাসড়ক নির্মাণ, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি ভিত্তিক রফতানি নির্ভর কলকারখানা নির্মাণ, রংপুর- কক্সবাজার আন্তঃনগর ট্রেন চালু, অর্থনৈতিক জোন তৈরি- এসব এখন সময়ের দাবি।

আগামী বুধবার (২ আগস্ট) রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় উপস্থিত থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ট্যাগস :

প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত রংপুর

আপডেট সময় : ১১:১৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

তিস্তা, ধরলা আর ব্রহ্মপুত্রের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্মভূমি রংপুর যেন সেজেছে নবরূপে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ঘিরে উচ্ছ্বাসের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে বিভাগ জুড়ে। সড়ক ও মহাসড়কে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রঙিন ব্যানার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পাড়া মহল্লা থেকে অলিগলি।
বর্ণিল আলোকসজ্জা ও রং-তুলির আঁচড়ে নতুন সাজে সেজেছে রংপুর।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সর্বশেষ রংপুরের তারাগঞ্জ ও পীরগঞ্জ উপজেলায় দুটি নির্বাচনী জনসভায়
উপস্থিত থেকে ভাষণ দিয়েছিলেন।

এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত জনসভায় ভাষন দেন।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই সফরে দলের তৃণমুলের নেতাকর্মীরা আরও উজ্জীবিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে ইতোমধ্যে একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছে কেন্দ্রীয়, জেলা, মহানগর ও অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতারা।

পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণার চালাচ্ছেন। তাদের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর এই সমাবেশে দশ লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটবে। দীর্ঘ প্রায় পাঁচবছর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে যেন বইছে অনেকটাই উৎসবের আমেজ।

সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চলছে সৌন্দর্য্যবর্ধণের কাজ। সড়কপথের পাশের দেয়ালগুলোতে চলছে রংয়ের কাজ, ফুটপাতে রং, ভাঙা সড়ক সংস্কার, পথের ধুলা বালি সরানোর কাজও চলছে জোরেশোরে। সৌন্দর্য্য বর্ধন করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল, সার্কিট হাউস ও আশে পাশের এলাকা।

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাসহ কয়েকজন মন্ত্রী রংপুরে উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, তদারকি করছেন।
সার্বিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রশাসনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হচ্ছে।
সুদূর গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া থেকে এসেছেন শেখ মোহাম্মদ ইলিয়াস। জাতীয় পতাকার আদলে তৈরি পোশাক আর মাথায় নৌকা প্রতীক নিয়ে ঘুরছেন। হ্যান্ড মাইকে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তুলে ধরে চালাচ্ছেন প্রচারণা।
ইলিয়াস বলেন, বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে যেসব উন্নয়ন হয়েছে তা সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরতে বিভিন্ন জনসভায় আমরা যোগ দেই। এবারও রংপুরে এসেছি।
রংপুর মহানগর অটো শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীও প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে উজ্জ্বীবিত।
জাতীয় পতাকার আদলে তৈরি পোশাক আর মাথায় নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রচারণার নেমেছেন।

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে বরণ করতে প্রস্তুত রংপুরের সাধারণ মানুষ। এই জনসভায় দশ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাবুল বলেন, ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর সফরে এসে এই অঞ্চলের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন। রংপুরের পুত্রবধূ হিসেবে তিনি কথা রেখেছেন।
তার কাছে আমাদের নতুন করে চাওয়ার কিছু নেই। এক সময় রংপুর মঙ্গাপীড়িত এলাকা ছিল। এখন মঙ্গা নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় সেটা এই জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেবেন।
এদিকে রংপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ। মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দসহ দ্রুত কাজ শুরুর দাবি জানানো হয়।
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রংপুর মহানগরীর সিটি বাজার এলাকা থেকে আনন্দ মিছিলটি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মিছিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার, প্লাকার্ড ও পোস্টার প্রদর্শন করা হয়। একই সঙ্গে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি তুলে ধরে স্লোগান দেন তিস্তাপাড়ের মানুষ। মিছিলে তিস্তা নদী বেষ্টিত রংপুরের গঙ্গাচড়া, পীরগাছা, কাউনিয়া উপজেলা ছাড়াও নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা থেকে লোকজন অংশ নেন।
মিছিল শেষে টাউন হল চত্বরের উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নদী ভাঙনের শিকার হওয়া তিস্তাপাড়ের মানুষসহ পরিষদের নেতাকর্মীরা।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রংপুর মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, বিগত সময়ে প্রধানমন্ত্রী নিজ দায়িত্বে এই এলাকার উন্নয়ন করেছেন। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের থেকে এখনও রংপুর কিছু কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা, মর্ডান মোড় থেকে পাগলাপীর পর্যন্ত বাইপাস মহাসড়ক নির্মাণ, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি ভিত্তিক রফতানি নির্ভর কলকারখানা নির্মাণ, রংপুর- কক্সবাজার আন্তঃনগর ট্রেন চালু, অর্থনৈতিক জোন তৈরি- এসব এখন সময়ের দাবি।

আগামী বুধবার (২ আগস্ট) রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় উপস্থিত থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।