পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। ভারতের অভ্যন্তরে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। শুল্ক আরোপের খবরে দিনাজপুরের হিলির খুচরা বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রোববার (২০ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে এই দৃশ্য দেখা যায়। তবে সরবরাহ কমের কারণে বেড়েছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, নতুন করে আরোপিত শুল্ক হার শিগগিরই কার্যকর হবে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং ক্রমবর্ধমান দামে লাগাম টানতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরেই স্থানীয় মার্কেটে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক পরিমাণে রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পোর্টালে দেখা যায়, ২০২৩ সালের এপ্রিল-জুনে ৬ দশমিক ৩৮ লাখ টন নিত্যপণ্যটি রপ্তানি করেছে ভারত। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ২৬ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। ওই সময় ৫ দশমিক ০৪ টন তা চালান করেছিলেন দেশটির রপ্তানিকারকরা।
হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহাবুল ইসলাম বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নতুন করে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। যার ফলে আমদানিকারকরা বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। আমরা বেশি দামে কিনে, বেশি দামে বিক্রি করছি। বর্তমানে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ভারত সরকার পেঁয়াজের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। হঠাৎ করে পেঁয়াজের ওপর শুল্ক আরোপ করাতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে বন্দরের ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়বেন। কারণ আমাদের অনেক পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি করা আছে। যদি সেই পেঁয়াজগুলো দেশে প্রবেশ করতো, তাহলে দাম অনেকটাই স্বাভাবিক থাকতো। আমরা চাই দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তারা বৈঠকের মাধ্যমে এর একটি সমাধান করুক।