পীরগাছায় জাল স্বাক্ষর দিয়ে সমিতির সভাপতি সম্পাদককে ফাঁসানোর চেষ্টা
- আপডেট সময় : ১১:২০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ ১৬৪ বার পঠিত
রংপুরের পীরগাছার পারুল ইউনিয়নের নাগদাহ আলাইকুমারী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সমিতির জন্য এলজিইডি থেকে দেয়া প্রকল্পের ৪২ লাখ টাকা নিজেদের ভাগের জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে স্থানীয় মাসুদ রানা, নূরুল হক, আলামিন, বিজয় চন্দ্র। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদকে দূর্নীতিগ্রস্থ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আখ্যা দিয়ে তাদের হাত থেকে সমিতিকে রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর ১৩৮ জন সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি অভিযোগ দিয়েছে সমিতির সাধারণ সদস্য এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন এলসিএস গ্রুপ-১ এর সভাপতি মাসুদ রানা। অভিযোগপত্রের ১৩৮ জন সদস্যের স্বাক্ষরের মধ্যে ৪৩ জন কোন স্বাক্ষর করেনি এছাড়াও সভাপতির মা-ফুফুসহ সর্বমোট ৭২ জনের স্বাক্ষর জাল করে এ অভিযোগটি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
স্বাক্ষর জাল ও চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে মাসুদ রানা জানান, আমি কারো স্বাক্ষর জাল করিনি। অভিযোগটি দিতে গিয়ে কাজের ব্যস্ততার জন্য সমিতির কিছু সদস্যের অনুমতি নিয়ে তাদের স্বাক্ষর গুলো দিয়েছি। এবিষয়ে সদস্যদের অনুমতি নেয়া আছে।
সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও স্বাক্ষর জালের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে। আমি কোন চাঁদা দাবি করিনি। আমিতো শুধু খাল পুনঃখননের ৩৫ লাখ টাকার আয় ব্যয়ের হিসেব চেয়েছিলাম সমিতির একজন সদস্য হিসেবে।
মাসুদ রানার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে এসে রংপুর এলজিইডির সামাজিক উন্নয়ন কর্মকর্তা (সোসিওলজিস্ট) লুৎফা খাতুন বুবলি জানান, প্রাথমিক তদন্তে সমিতির সাধারণ সদস্যদের সঞ্চয়, শেয়ার প্রকল্পসহ সমিতির আয় ব্যয়ের হিসেবে কোন প্রকার অসংগতি পাইনি। ৪২ লাখ টাকার প্রকল্পের এখনো ৭ লাখ টাকার কাজ বাকি রয়েছে। প্রকল্পের সম্পূর্ণ কাজ শেষে প্রকল্পের হিসাব অডিটের মাধ্যমে নেয়া হবে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে।