রংপুর পীরগঞ্জ পৌরসভার ওসমানপুর বৈরাগীপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মরহুম আব্দুর রহমান ওরফে গাটু রহমানের ছোট ছেলে মহিবুল (৩৫) ও মেয়ের জামাই মালেক (৩৭) এর সঙ্গে হেলাল (৪০) এর দীর্ঘ দিন থেকে জমি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়,হেলাল জীবিকার তাগিদে সেটেলমেন্টে জমি জমা সংক্রান্ত দালালি করতো। অপরদিকে সংসারে অভাব অনাটনের কারনে সে চোরও ছিল। হেলালের নামে একাধিক মামলা থাকায় রংপুর বিজ্ঞ আদালত হইতে জাবিন প্রাপ্ত হয়ে গত ২৫ জুলাই সন্ধ্যাবেলা নিজ বাড়িতে আসেন। বাসায় রাতের খাবার খেয়ে অনুমান-১.১০ ঘটিকায় পান ও সিগারেট আনার জন্য বাসা থেকে হইলে পৌরসভার ওসমানপুর বৈরাগীপাড়ার জনৈক -ক্ষিতীশ বাবুর মুদি দোকানের সামনে পৌছা মাত্র পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওৎ পেতে থাকা ঘাতক মহিবুল ও বোন জামাই মালেক দুজন হেলালকে রাস্তায পথরোধ করে উভয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে ছোট ভাই মহিবুলের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হেলাল এর পেটে সজোরে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করেন।
হেলাল ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত হইলে তড়িঘড়ি করে তাকে চিকিৎসার জন্য ঘাতক মহিবুল ও মালেক একটি রিক্সায় করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হেলাল মিয়া কে মৃত ঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিক মৃত- হেলাল এর মৃতদেহ হাসপাতালে রেখে ছোট ভাই- মোঃ মহিবুল ইসলাম ও বোন জামাই- মোঃ আঃ মালেক মিয়া পালিয়ে যায়।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হেলালের লাশ পীরগঞ্জ থানা মর্গে আছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন।