ঢাকা ১২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আশুলিয়ায় ডিস ব্যবসা দখলের চেষ্টায় ব্যবসায়ীকে মারধর ডুমুরিয়ায় নদীর উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ  ও নদী খননের দাবীতে মানববন্ধন কুড়িগ্রামে যুব সংগঠন কর্তৃক ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে ৩০ জন কিশোর-কিশোরী পেল সম্মাননা পাইকগাছায় বিএনপি নেতা মুছার বিরুদ্ধে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাংবাদ সম্মেলন ভোলায় নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরতে নিষেধ করায় হামলার শিকার স্থানীয়রা জাতীয় পার্টি পিপীলিকা নয়-জাতীয় পার্টি বাজপাখি : মোস্তফা পাংশায় স্বামীর বাড়িতে হামলা, মারপিট ও লুটপাটের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রবাসীদের সহায়তায়- গোয়ালন্দ ইয়ুথ এন্ড স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির বাস্তবায়নে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ ভোলায় জামায়াতের নতুন জেলা আমির মাস্টার জাকির হোসাইনের শপথ

পিলখানার ট্র্যাজেডির ১৪ বছর আজ

ডেস্ক রিপোর্ট:
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৬২ বার পঠিত

 

 

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কালো দিন আজ । আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) পিলখানার নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর আজ।

পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরের নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ ।

২০০৯ সালের এই দিনে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর), বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিপথগামী কিছু সদস্য ধ্বংসলীলা চালায়। তাদের উন্মত্ততার শিকার হয়ে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরিণত হয় ‘পিলখানা হত্যা দিবস’।

দিবসটি উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কোরআনখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবে বলে বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধিরা।

দিবসটি উপলক্ষে সকল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) স্থাপনায় বিজিবির পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবি সদস্যরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানরা (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) ও শহীদদের নিকটাত্মীয়রা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

পিলখানা ট্র্যাজেডির এই ঘটনায় ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক নবজ্যোতি খিসা। এ ছাড়া বিজিবির নিজস্ব আইনে ৫৭টি মামলায় সারা দেশে পাঁচ হাজার ৯২৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে।

২০১০ সালের ১২ জুলাই পিলখানা হত্যা মামলায় ৮২৪ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে সম্পূরক চার্জশিটে আরও ২৬ জনকে আসামি করা হয়।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর লালবাগে অবস্থিত আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে এ হত্যা মামলার রায় দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে ৮৫০ জন আসামির মধ্যে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৭১ জনকে খালাস দেওয়া হয়। দুই থেকে ২০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ২৬৬ জনকে।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখা হয়। আট জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টে আপিল চলার সময়ে কারাগারে থাকা অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়। খালাস পান ১২ আসামি।

এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এখনও বিচারাধীন। মামলাটির আসামি রয়েছেন ৮৩৪ জন। এর মধ্যে ২৪ জন এরই মধ্যে মারা গেছেন। পলাতক রয়েছেন ২০ জন।

ট্যাগস :

পিলখানার ট্র্যাজেডির ১৪ বছর আজ

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

 

 

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কালো দিন আজ । আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) পিলখানার নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর আজ।

পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরের নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ ।

২০০৯ সালের এই দিনে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর), বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিপথগামী কিছু সদস্য ধ্বংসলীলা চালায়। তাদের উন্মত্ততার শিকার হয়ে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরিণত হয় ‘পিলখানা হত্যা দিবস’।

দিবসটি উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কোরআনখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবে বলে বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধিরা।

দিবসটি উপলক্ষে সকল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) স্থাপনায় বিজিবির পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবি সদস্যরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানরা (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) ও শহীদদের নিকটাত্মীয়রা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

পিলখানা ট্র্যাজেডির এই ঘটনায় ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক নবজ্যোতি খিসা। এ ছাড়া বিজিবির নিজস্ব আইনে ৫৭টি মামলায় সারা দেশে পাঁচ হাজার ৯২৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে।

২০১০ সালের ১২ জুলাই পিলখানা হত্যা মামলায় ৮২৪ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে সম্পূরক চার্জশিটে আরও ২৬ জনকে আসামি করা হয়।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর লালবাগে অবস্থিত আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে এ হত্যা মামলার রায় দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে ৮৫০ জন আসামির মধ্যে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৭১ জনকে খালাস দেওয়া হয়। দুই থেকে ২০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ২৬৬ জনকে।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখা হয়। আট জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টে আপিল চলার সময়ে কারাগারে থাকা অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়। খালাস পান ১২ আসামি।

এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এখনও বিচারাধীন। মামলাটির আসামি রয়েছেন ৮৩৪ জন। এর মধ্যে ২৪ জন এরই মধ্যে মারা গেছেন। পলাতক রয়েছেন ২০ জন।