খুলনার পাইকগাছায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ৭'শ বিঘার চিংড়ী ঘেরের বাসাবাড়ি ভাংচুরসহ ১০ দিন ধরে লুটপট করার ঘটনা ঘটেছে।
শত শত লোক নিয়ে প্রতিপক্ষ আইয়ুব আলী গাজীর নেতৃত্বে ঘেরের ১৫ জন কর্মচারীকে মারপিট করে তাড়িয়ে দিয়ে। আড়াই কোটির টাকার বেশি সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ও লুপট করেছে। গত ৫ আগস্ট থেকে ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে সরেজমিনে যেয়ে জানাগেছে।
এ ঘটনায় পাইকগাছা সেনা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন জায়গায় দেয়া অভিযোগ ও পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ঘের মালিক শেখ আনারুল ইসলাম এ সব জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বারুইডাংগা গ্রামের আয়ুব আলী গাজীর নেতৃত্বে শত শত লোক আমার কপিলমুনিস্থ শান্তা ফিসের অফিসে ভাংচুর করে নগত প্রায় ৪লাখ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে। পরে তারা আমার মাছের ঘের দখল করতে যায়। এসময় আমার ঘেরের পাকা কাঁচা ঘর ভাংচুর করে। লুটপাট করে মাছ, মাছের খাবার, ছাগল, আসবাবপত্র ও নগদ টাকা। যাতে আমার আড়াই কোটির বােশি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এসময় তারা ঘেরের কর্মচারীদের বেধম মারপিট করে ঘের থেকে তাড়িয়ে দেয়। কোন ঘরের জানালা, দরজা, আলমারি এমনকি ভাত-পানি খাওয়ার থালা গ্লাসও নিয়ে গেছে তারা। কাঠি জাল টানা দিয়ে ১০ দিন যাবৎ ফ্রী স্টাইলে ৩ থেকে১৫ কেজি ওজনের ভেটকি, এক -দেড় কেজি ওজনের ভাংগন মাছগুলো ধরে নিয়ে গেছে। প্রতিদিন আটন দিয়ে ২- ৩ শ কেজি করে বাগদা চিংড়ী ধরে নিয়েছে। পরে আসববপত্র ও সকল খাতাপত্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তারা। এ ব্যাপারে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘেরের ম্যানেজার শাহ আলম জানান, দুস্কৃতিকারীরা ঘেরের পাকা কাঁচা ঘর ভাংচুর করে,লুটপাট ও অগ্গি সংযোগ করেছে। এতে আমার মালিকের প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জানতে চাইলে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ আনারল ইসলাম জানান আয়ুব আলী গাজী ২০২০ সালে ৭৪ বিঘা জমি ডিডমুলে রেজিষ্ট্রেশন করেন জমির মালিকদের কাছ থেকে। যা পরবর্তীতে ১১ লাখ ৯ হাজার টাকা নিয়ে আমাদের কাছে ডিড হস্তান্তর করেন।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ আয়ুব আলী জানান, আমরা কোন ক্ষয়ক্ষতি করিনি। তবে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে হরিলুট করেছে।