খুলনার পাইকগাছায় যৌন নিপিড়নকারী এক শিক্ষকের বহিস্কারের দাবীতে পুনরায় শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী,অবিভাবক ও এলাকাবাসী আয়োজনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকালে উপজেলার কপিলমুনি ইউপির মানিকতলা কে আর আর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষানুরাগী ইয়াসিন হাজরা'র সভাপতিত্বে এবং কবির গাজীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খান জিনারুল ইসলাম, আশরাফ মোড়ল, রমেশ কুমার মুনি, মনিরুজ্জামান গাজী, ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ফাইমা খাতুন, তুহিন গোলদার, ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তৈয়েবুর রহমানসহ অনেকে।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন,অত্র স্কুলের ক্রিড়া শিক্ষক মিলন কুমার রায় গত ২৩ ও ২৪ অক্টোবর ক্লাস পরিক্ষা চলাকালীন সময় ৯ম এক শ্রেনীর (মেয়ে) শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা বলে। এমনকি বলেন তুমি আমার বিষটা দেখবে আর আমি তোমার পাশের বিষটি দেখবো। শিক্ষকের এমন আচারনে কোন রকমে পরিক্ষা শেষ করে তার ভাইয়ের দোকানে যেয়ে কান্নাকাটি করে বিষটি খুলে বলে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী গত ৪ নভেম্বর শিক্ষক মিলন রায়ের শাস্তি ও বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং শিক্ষক মিলন কুমার রায়ের বহিস্কারের দাবীতে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির কাছে লিখিত আবেদন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, শিক্ষক মিলন কুমার একজন চরিত্রহীন শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে ১৯৯৬,২০০৮, ২০১৩ সালে ছাত্রীদের যৌন নিপিড়নের অভিযোগ ওঠে। বারবার তিনি টাকার বিনিময়ে পার পেয়ে যান। আগামী ৭দিনের শিক্ষক মিলন কুমারের বহিস্কার না করা হলে স্কুল বন্ধ করে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারী দেয়া হয়।
প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান জানান, শিক্ষক মিলন কুমার একজন চরিত্রহীন মানুষ। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে তার বিরুদ্ধে বহু যৌন নিপিড়নের অভিযোগ আছে। বার বার সাবধান ও সোকেস এবং মামলা হলেও টাকার বিনিময়ে তিনি পার পেয়ে গেছেন। স্কুলের সকল শিক্ষক কর্মচারীও তার বহিস্কারের দাবীতে সভাপতির কাছে আবেদন জমা দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।