"খুলনার পাইকগাছার বহুল আলোচিত জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে তাদের জমাকৃত সঞ্চয় ও স্থায়ী আমানতের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবী করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে কয়েক’শ গ্রাহক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন এর কার্যালয়ে গিয়ে সমিতি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন এ সময় তারা তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু ও থানার ওসি রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলে সমিতির ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকদের টাকা ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে সবধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম, মৎস্য আড়ৎদারী সমবায় সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন, মটর সাইকেল চালক সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, শহিদুল মোড়ল, শাহীন ইকবাল, সাইফুল ইসলাম, নাজমা খাতুন, ফাতেমা ও রিজিয়া বেগম। উল্লেখ্য, পৌরসভার সরল বাজারস্থ জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে এলাকার শ্রমিক, দিনমজুর সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের কষ্টের অর্জিত অর্থ অত্র সমিতিতে জমা রাখে। বর্তমানে এক হাজার গ্রাহকের জমাকৃত সঞ্চয় ও স্থায়ী আমানতের ৫ কোটি টাকা সমিতির নিকট পাওনা রয়েছে বলে গ্রাহকরা দাবী করে আসছে। টাকা দিতে হিমশিম খাওয়ায় গ্রাহকরা চলতি বছরের ৮ মে সমিতি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে সমিতি কর্তৃপক্ষের অনেকটাই অবরুদ্ধ করে ফেলে। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সমিতির নির্বাহী প্রধান কাউন্সিলর আলাউদ্দীন গাজী এবং সভাপতি মোহাম্মদ আলী গাজী গ্রাহকদের কাছ থেকে ৬ মাসের সময় নেন টাকা পরিশোধের জন্য। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোন গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়নি এবং সমিতির কার্যালয় তালাবদ্ধ রেখে সমিতি কর্তৃপক্ষে গাঁ ঢাকা দিয়েছে বলে গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন।