ঢাকা ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

পাইকগাছায় খড়িয়া নবারুণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগ  

মোঃ ফসিয়ার রহমান-পাইকগাছা (খুলনা):  
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ১৩৩ বার পঠিত

খুলনার পাইকগাছার খড়িয়া নবারুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে আবারও উপজেলা নির্বাহী অফিসার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। স্থানীয় প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল বুধবার তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে এ অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে প্রকাশ,

গত ১২ জুলাই  ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ের ১জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী,১জন নিরাপত্তা কর্মী ও ১ জন আয়া নিয়োগ প্রদান করেন। এ অবৈধ নিয়োগ বাতিল, প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীও করা হয় এ অভিযোগে। গত ৪ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে নিয়োগ, অনিয়ম ও দুর্নীতির চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করা হয়।
কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের কারণে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি বলে অভিযোগকারী জানান। এছাড়া প্রধান শিক্ষক ভারত ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক বলে দু-দেশের ভোটার তালিকায় দেখা যায়।

দেশের টাকা ভারতে পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজস করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের  প্রদত্ত  ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের প্রণোদনার পাঁচ লাখ  টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র সরকার বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। নিয়মানুযায়ী নিয়োগ দেয়া দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে সত্যতা প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে।

উল্লেখ্য গত ১৬ই জুলাই এ বিষয়ে খড়িয়া নবারুণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র সরকার ও সভাপতি সমারেশ চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল হয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনে স্থানীয় নারী-পুরুষরা মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেন।

এলাকাবাসীর পক্ষে আদালতে মামলা ও ইউএনও অফিসে অভিযোগকারী প্রকাশ চন্দ্র বলেন,প্রধান শিক্ষক নিজ শ্যালিকাকে আয়া পদে, সভাপতি তার ছোট ভাই ভবেশ চন্দ্রকে;এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য রবীন্দ্রনাথ ঢালী তার ভাগ্নে পলাশ মন্ডলকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের বড়শুল গ্রামের
বাসিন্দা। যার ভারতীয় ভোটার নং ৯৯৮।

পাইকগাছায় খড়িয়া নবারুণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগ  

আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

খুলনার পাইকগাছার খড়িয়া নবারুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে আবারও উপজেলা নির্বাহী অফিসার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। স্থানীয় প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল বুধবার তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে এ অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে প্রকাশ,

গত ১২ জুলাই  ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ের ১জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী,১জন নিরাপত্তা কর্মী ও ১ জন আয়া নিয়োগ প্রদান করেন। এ অবৈধ নিয়োগ বাতিল, প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীও করা হয় এ অভিযোগে। গত ৪ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে নিয়োগ, অনিয়ম ও দুর্নীতির চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করা হয়।
কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের কারণে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি বলে অভিযোগকারী জানান। এছাড়া প্রধান শিক্ষক ভারত ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক বলে দু-দেশের ভোটার তালিকায় দেখা যায়।

দেশের টাকা ভারতে পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজস করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের  প্রদত্ত  ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের প্রণোদনার পাঁচ লাখ  টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র সরকার বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। নিয়মানুযায়ী নিয়োগ দেয়া দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে সত্যতা প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে।

উল্লেখ্য গত ১৬ই জুলাই এ বিষয়ে খড়িয়া নবারুণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র সরকার ও সভাপতি সমারেশ চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল হয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনে স্থানীয় নারী-পুরুষরা মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেন।

এলাকাবাসীর পক্ষে আদালতে মামলা ও ইউএনও অফিসে অভিযোগকারী প্রকাশ চন্দ্র বলেন,প্রধান শিক্ষক নিজ শ্যালিকাকে আয়া পদে, সভাপতি তার ছোট ভাই ভবেশ চন্দ্রকে;এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য রবীন্দ্রনাথ ঢালী তার ভাগ্নে পলাশ মন্ডলকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের বড়শুল গ্রামের
বাসিন্দা। যার ভারতীয় ভোটার নং ৯৯৮।