রাজবাড়ীর পাংশায় স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর বাড়িতে হামলা, মারপিট ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের ভুরকুলিয়া (খালাশীপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী ও শ্বাশুরিসহ তিনজন আহত। ভূক্তভোগী স্বামীর মো. আলামিন মন্ডল। তিনি ভুরকুলিয়া গ্রামের সোবাহান মন্ডলের ছেলে। অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম লাখি বেগম। অভিযুক্ত লাখি বেগম উপজেলার কমবামাজাইল ইউনিয়নের দিঘলহাট গ্রামের জহিরুল মন্ডলের একমাত্র কণ্যা।
ভূক্তভোগী স্বামী মো. আলামিন মন্ডল বলেন, গত আড়াই বছর পূর্বে আমি প্রবাস থেকে বাড়িতে আসার পর লাখির সাথে আমার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর আমি আমার প্রবাসে ফিরে যাই। প্রবাসে ছয় মাস থেকে আবার বাড়িতে আসার ৩ মাস পর আমার স্ত্রী তার মামাত ভাইয়ের সাথে চলে যায়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তার পর থেকে তারা বিয়ে করে কুষ্টিয়াতে থাকে। আমিও দ্বিতীয় বিয়ে করি। এর মধ্যে আমার প্রথম স্ত্রী লাখি বেগম আমার বিরুদ্ধে রাজবাড়ী কোর্টে একটি যৌতুক মামলা করে। মামলা এখনো চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে আজ লাখি বেগমের চাচা-চাচাত ভাই, নানা ও মামাসহ প্রায় ৩০-৪০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে এসে হামলা করে ঘরের আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করে এবং আমাকে, তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা আমার দ্বিতীয় স্ত্রী রিয়া বেগম ও আমার মাকে মারপিট করে।
আলামিনের মা মোছা: মর্জিনা বেগম বলেন, আমি সকালে পাশের বাড়িতে ছিলাম। চিৎকার চেচামেচি শুনে বাড়িতে এসে দেখি আমার ঘরের সবকিছু বেঙেচুরে নিয়ে যাচ্ছে। বাধা দিতে গেলে আমাকে মারপিট করে। তিনি আরও জানান, ঘরের আসবাবপত্র সহ তার ঘরে থাকা নগদ এক লাখ আশি হাজার টাকা ও তার মেয়ে একটি স্বর্ণের চেইনও নিয়ে গেছে। চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ২৫-৩০ জন মিলে সকালে আলামিনের বাড়িতে হামলা করে দুইটি রুমের আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। তিনটি ভ্যান ও একটি করিমন গাড়িতে করে একটি রুমের আসবাবপত্র নিয়ে গেছে তারা। এদের সাথে আলামিনের প্রথম স্ত্রীও ছিলো। এ সময় আলামিন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রিয়া ও আলামিনের মাকে মারপিট করেছে। জানা গেছে, আলামিন ও তার মা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আলামিনের দ্বিতীয় স্ত্রী পাংশা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় আলামিনের অভিযুক্ত প্রথম স্ত্রী লাখি বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তা রিসিভ হয়নি।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, বিষয়টি সম্পুর্ণ অবগত না। তবে বাবুপাড়া ইউনিয়নে একটি ঝামেলার কথা সুনেছি। এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।