পাংশায় যুবকের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মারপিট করার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৮:৫৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩ ৭৮ বার পঠিত
রাজবাড়ীর পাংশায় বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মো. মারুফ প্রামানিক নামের এক যুবকের পায়ের রগ কাটার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৮এপ্রিল) সন্ধ্যায় পাংশা পৌর শহরের মৈশালা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারুফ প্রামানিক পৌর
শহরের কুলটিয়া গ্রামের মো. মতিয়ার প্রামানিকের ছেলে। আহত মো. মারুফ প্রামানিক পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত মো. মারুফ প্রামানিক জানান, শনিবার ইফতারের আগ মুহুর্তে মৈশালা বাসষ্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশ্বে (কুষ্টিয়ার দিকে) পেষাব করতে যাই এমন সময় রাজিব নামের এক ব্যাক্তি আমাকে ডাক দেয়। তার ডাকে স্বারা দিয়ে এগিয়ে গেলে আলামিন নামের এক ব্যাক্তি পিছন থেকে চাকু দিয়ে পায়ের রগ কাটার জন্য চেষ্টা করে এবং আমার বুকের উপর নল আলা বন্দুক ঠেকিয়ে কাকে যেন ফোন করে বলে ওকে কি গুলি করে দেব নাকি? ফোনে বলেছে মেরে ফেলার দরকার নাই। পরে বন্দুক দিয়ে আমার কানের উপর একটি বারি মারে এবং রাস্তায় ফেলে দিয়ে এলোপাতারী মারপিট করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা উপদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি আরোও জানান, অভিযুক্ত আলামিন মন্ডল ও নয়ন মন্ডল মৌরাট ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খান্দুয়া গ্রামের আনছার মন্ডলের ছেলে। এছাড়াও মৈশালা বড়গাছি গ্রামের শরিফ, মোহাম্মদ ও রাজিব লাঠি-সোটা দিয়ে আমাকে মারপিট করেছে।
এ সময় আমার কাছে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। আমার বাবা-মা ঢাকায় রয়েছে তারা এসে থানায় মামলা করা হবে।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সোমা প্রামানিক জানান, আহতের ডান পায়ে তিন জায়গাতে কাটা ইঞ্জুরি ছিলো।
সেখানে প্রায় ২০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তার বাম পায়ে, বাম হাতে ও বাম কানে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে।
মৈশালা বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা জানান, ইফতারের আগমুহুর্তে স্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশ্বে সোরগোল সুনেছেন। তবে সেখানে কি হয়েছে? তা জনেন না কেউঅভিযুক্ত রাজিব বলেন, শুধু শুধু কেউ কাউকে মারপিট করে না। ওই ছেলে একটা চোর।
সে জন্য ওকে মারা হয়েছে। আমি মারিনি। তবে কারা মেরেছে আমি দেখেছি। কে বা কারা তাকে মেরেছে নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটু পরে
আপনাকে জানাচ্ছি। পরে আর ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
অভিযুক্ত অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযুক্ত আলামিন মন্ডলের বাবা মো. আনছার মন্ডলকে বিষয়টি জানালে তিনি জানান, নয়ন নাম হলেই কি আমার ছেলে হয়? এই নয়ন আমার ছেলে না। আলামিন মন্ডল আমার ছেলে।
আলামিন মন্ডলের মুঠোফোন নম্বর চাইলে ১০-২০ মিনিট পরে নম্বর দিতে চান তিনি। ২০ মিনিট পরে আবারও নম্বর চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন নম্বর দিতে
পারবো না।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, এমন কোনো ঘটনার বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।