রাজবাড়ীর পাংশায় ৩৪ শতাংশ জমিতে ফলানো ২ শতাধিক লাউ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের জাগিরকয়া গ্রামের একটি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
একই গ্রামের মো. রশিদ কাজী ওরফে শীষে নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. মজিবর মন্ডল। তিনি ইউনিয়নের বি-কয়া গ্রামের গহের মন্ডলের ছেলে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মো. রশিদ কাজী।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, লাউ গাছে ধরে আছে অশংখ্য লাউ। প্রতিটি লাউগাছের গোড়া থেকে কাটা রয়েছে। লাউ ঝুলে থাকলেও গাছের পাতাগুলো শুকিয়ে গেছে।
এ সময় স্থানীয়রা জানান, মো. মজিবর মন্ডল প্রায় ১০ বছর ধরে লাউ, মুলা, বাগুন ও শোষা সহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করে আসছে। এর আগেও একবার কে বা কাহারা তার লাউ গাছ কেটেছে। গাছের সাথে শত্রুতা একটি জঘন্যতম অপরাধ। স্থানীয়রা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ।
ভুক্তভোগী মো. মজিবর মন্ডল জানান, গত ৪০ দিন আগে এখানে ৩৪ শতাংশ জমিতে ২ শতাধিক লাউ গাছের চারা লাগিয়েন। প্রতিটি গাছে লাউ ধরেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় মো. রশিদ কাজী পূর্ব শত্রুতার জেরে গাছগুলো কেটেছে। মো. রশিদ কাজীর সাথে তার কি শত্রুতা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ৭-৮ বছর আগে রশিদ কাজী তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়। পরে তিনি তার ডিভোর্সী স্ত্রীকে বিয়ে করেন। তারপর থেকে রশিদ তার সাথে বিভিন্ন ভাবে শত্রুতা করে আসছে। তিনি আরও জানান, স্থানীয় ভাবে আজ উভয়পক্ষকে সাথে নিয়ে বসে এ ঘটানার সুরহা করার কথা রয়েছে। সঠিক বিচার না পেলে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে মো. রশিদ কাজী জানান, তিনি এ লাউ গাছ কাটেননি এবং কে কাহারা কেটেছে তা তিনি জানেন না। তার উপর মিথ্য অভিযোগ চাপানো হয়েছে।