রাজবাড়ীর পাংশায় ছুটি ছাড়া স্কুলে অনুপস্থিত দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষক।
অনুপস্থিত শিক্ষকরা ছুটি নিয়েছেন কিনা তা জানেন না বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক। কত দিন বিদ্যালয়ে আসবেন না তাও জানেন না তারা। তবে এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
অনুপস্থিত একজন শিক্ষক হলেন, বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বীর বিক্রম শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবাহান ওরফে সোহান মাস্টার। অপর জন হলেন, মৌলভী ছাবের উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিন ওরফে রব্বান মাস্টার।
জানা যায়, গত ৫ মার্চ ইউনিয়নের বাগমাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষাক মোছাঃ শারমিন আক্তার ওরফে রেখাকে মারপিট করার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গত ৭ মার্চ পাংশা মডেল থানায় বীর বিক্রম শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবাহান এবং মৌলভী ছাবের উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
নাজিম উদ্দিন ওরফে রব্বান মাস্টারকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক মোছাঃ শারমিন আক্তার ওরফে রেখা। এর পর থেকে বিদ্যালয়ে যান না দুই শিক্ষক।
বীর বিক্রম শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল বলেন, অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক গত দুইকর্ম দিবস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। তিনি আমার নিকট থেকে
কোন ছুটি নেননি। বিষয়টি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হবে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মৌলভী ছাবের উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো: আজাহার আলী বলেন, তিনি গত ৯ মার্চ থেকে বিদ্যালয়ে আসেন না। গত ৮ মার্চ বিকালে আমাকে ফোন করে বলেছেন, কেউ যদি আমার কথা জানতে চান তাহলে বলবেন আমি ছুটিতে আছি। তিনি ছুটি নিয়েছেন কি না? তা আমি জানি না। আমি তার ছুটির কোন নোটিশ পাইনি।
তিনি কতদিন বিদ্যালয়ে আসবেন না? তাও আমি জানি না। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাচ্ছি।
সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, যথাযথ কাগজপত্র সহ আবেদন করে ১৫ দিনের জন্য মেডিকেল ছুটি নিয়েছেন। তবে এক জন প্রধান শিক্ষককে মারপিট করার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়টি আমি জানি না। উক্ত শিক্ষক যদি অনুপস্থিত হয়ে থাকে? তাহলে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে
বলে দিব হাজিরা খাতায় যেন উক্ত শিক্ষক অনুপস্থিত থাকে এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনায় অনুপস্থিত দুই শিক্ষকের মুঠোফোনে একাধিবার ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।