পাংশায় চাচাতো ভাইকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে না ফাঁসানোয় রংমিস্ত্রীকে কুপিয়ে জখম ও হাতুড়ি পেটার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ১০:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩ ৬৩ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার:
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় চাচাতো ভাইকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে না ফাঁসানোয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম ও হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে পাংশা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগি মারুফ প্রামানিক (১৯) বাদী হয়ে সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে এই মামলাটি দায়ের করেন। পেশায় রংমিস্ত্রী মারুফের বাবার নাম মতিয়ার প্রামানিক। তিনি পাংশা পৌরসভার কুলটিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, পাংশার বড়গাছী গ্রামের আবজাল সরদারের ছেলে রাজিব সরদার (২৬), সালাম সরদারের ছেলে শরীফ সরদার (৩৮), খান্দুরা গ্রামের আনছার মন্ডলের ছেলে আলামিন মন্ডল (২২), একই গ্রামের আইন উদ্দিন ছেলে মো. নয়ন (২৫), বড়গাছী পূর্বপাড়ার আক্কাস সরদারের ছেলে মোহাম্মদ আলী সরদার (৩৫) ও কুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ আলী সরদারের ছেলে মো. আলী সরদার (৩৩)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৮ এপ্রিল বিকেল পৌনে ৬টায় মারুফ মৈশালা বড়গাছী বাসস্ট্যান্ডে আসেন। এসময় রাজীব সরদারের সঙ্গে মারুফের দেখা হয়। কথা আছে বলে মারুফকে বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিমদিকে একটি নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয়তলার ছাদে নিয়ে যায়। পরে সেখানে অন্য আসামীরা ধারালো চাকু, লোহার হাতুড়ি ও লোহার রড নিয়ে উপস্থিত হয়। আসামীরা মারুফের চাচাতো ভাই নয়ন সরদারকে (২৬) ফাঁসানোর জন্য বসতবাড়িতে একটি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় আসামীরা ভয়ভীতি দেখায়। খুন-জখম করার হুমকি দেয়। তিনি চলে আসার চেষ্টা করলে তাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এসময় আসামীরা খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মামলার ১ নম্বর আসামী রাজিবের ব্যবহৃত একটি মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। ফোন রিসিফ করেন আশরাফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, রাজিব তাঁর কাছের ভাই। খুব ভালো সম্পর্ক। এই ফোন রাজিবের নয়। রাজিব তাঁর কাছ থেকে ফোন নিয়ে এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছিল।
৩ নম্বর আসামী আলামিন মন্ডলের বাবা আনছের মন্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আলামিন কোথায় জানতে চাওয়া হয়। আলামিন বাইরে আছে জানিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে আবার ফোন করলে বলেন, সারা দিন রোজা ছিলাম। এখন খাচ্ছি। আমাকে বিরক্ত করবেন না।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, এবিষয়ে থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।