ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

নির্বচনের কলহের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত-১ আহত-৪, গ্রেপ্তার-৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : ১০:২১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪ ২৭ বার পঠিত

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে উপ নির্বাচনের কলহ ও পূর্ব শক্রতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক এমদাদুল হক মিলন (৪২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

ওই ঘটনায় আরো চারজন আহত হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া সরকার পাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে মঞ্জুরুল হক বেবিন, নজরুল ইসলাম ও চান মিয়ার ছেলে সাদা মিয়া।

নিহত এমদাদুল হক মিলন হচ্ছে ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া সরকার পাড়ার আবুল
কাশেমের ছেলে। হামলার ঘটনাটি ঘটে ১০ এপ্রিল রাতে ও মারাযায় ১১ এপ্রিল বিকেলে।

পুলিশ জানায়, গত ৯ মার্চ শেপুরের ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বারের মৃত্যুতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সুরুজ আলী ও বাহাদুর মিয়া প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।

নির্বাচনে মেম্বার নির্বাচিত হন সুরুজ আলী। তার সন্দেহ নিহত এমদাদুল হক মিলনরা তাকে ভোট দেয়নাই। এ জিদে সাইন্ড বক্স বাজিয়ে তাদেরকে বিরত করে সুরুজ আলী মেম্বারের লোকজন। এর প্রতিবাদ করলে সে দফায় এমদাদুল হক মিলনসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলো।
এরপর মিলন ও তারা ভাইয়েরা কাজে ঢাকায় চলে যায়। তারা ঈদ উপলক্ষে বাড়ি আসলে
সুরুজ মেম্বারের লোকজন তাদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করে।
এরই অংশ হিসেবে গতকাল ১০মার্চ রাতে উপজেলার তেতুলতলা বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে সন্ত্রাসী মঞ্জুরুল হক বেবিনের নেতৃত্বে একদল স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী এমদাদুল হক মিলনের ওপর হামলা চালায়।

এসময় তাকে বাচাঁতে এসে ইয়াজাদ,
শাহজাদা, হাশর আলী ও শিশু নিবোক আহত হয়। পরে আহত মিলনসহ অন্যদের প্রথমে
ঝিনাইগাতী হাসপাতালে পরে শেরপুর শেরপুর জেলা হাসপাতালে এবং মিলনসহ তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সেখানেই আজ বিকেলে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় এমদাদুল হক মিলনের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় মিলনের স্ত্রী লাবনী আক্তার বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও ১২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

মামলার বাদী লাবনী আক্তার বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে সুরুজ
মেম্বার, বেবিনরা হত্যা করেছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই। সন্ত্রাসী খুনিদের ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইস্কান্দারহাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আদার সেকশনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলাটিই এখন হত্যা মামলা হিসেবে গন্য হবে। ইতিমধ্যে আমরা এ ঘটনার প্রধান
আসামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামীদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।

ট্যাগস :

নির্বচনের কলহের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত-১ আহত-৪, গ্রেপ্তার-৩

আপডেট সময় : ১০:২১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে উপ নির্বাচনের কলহ ও পূর্ব শক্রতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক এমদাদুল হক মিলন (৪২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

ওই ঘটনায় আরো চারজন আহত হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া সরকার পাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে মঞ্জুরুল হক বেবিন, নজরুল ইসলাম ও চান মিয়ার ছেলে সাদা মিয়া।

নিহত এমদাদুল হক মিলন হচ্ছে ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া সরকার পাড়ার আবুল
কাশেমের ছেলে। হামলার ঘটনাটি ঘটে ১০ এপ্রিল রাতে ও মারাযায় ১১ এপ্রিল বিকেলে।

পুলিশ জানায়, গত ৯ মার্চ শেপুরের ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বারের মৃত্যুতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সুরুজ আলী ও বাহাদুর মিয়া প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।

নির্বাচনে মেম্বার নির্বাচিত হন সুরুজ আলী। তার সন্দেহ নিহত এমদাদুল হক মিলনরা তাকে ভোট দেয়নাই। এ জিদে সাইন্ড বক্স বাজিয়ে তাদেরকে বিরত করে সুরুজ আলী মেম্বারের লোকজন। এর প্রতিবাদ করলে সে দফায় এমদাদুল হক মিলনসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলো।
এরপর মিলন ও তারা ভাইয়েরা কাজে ঢাকায় চলে যায়। তারা ঈদ উপলক্ষে বাড়ি আসলে
সুরুজ মেম্বারের লোকজন তাদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করে।
এরই অংশ হিসেবে গতকাল ১০মার্চ রাতে উপজেলার তেতুলতলা বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে সন্ত্রাসী মঞ্জুরুল হক বেবিনের নেতৃত্বে একদল স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী এমদাদুল হক মিলনের ওপর হামলা চালায়।

এসময় তাকে বাচাঁতে এসে ইয়াজাদ,
শাহজাদা, হাশর আলী ও শিশু নিবোক আহত হয়। পরে আহত মিলনসহ অন্যদের প্রথমে
ঝিনাইগাতী হাসপাতালে পরে শেরপুর শেরপুর জেলা হাসপাতালে এবং মিলনসহ তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সেখানেই আজ বিকেলে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় এমদাদুল হক মিলনের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় মিলনের স্ত্রী লাবনী আক্তার বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও ১২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

মামলার বাদী লাবনী আক্তার বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে সুরুজ
মেম্বার, বেবিনরা হত্যা করেছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই। সন্ত্রাসী খুনিদের ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইস্কান্দারহাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আদার সেকশনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলাটিই এখন হত্যা মামলা হিসেবে গন্য হবে। ইতিমধ্যে আমরা এ ঘটনার প্রধান
আসামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামীদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।