ময়মনসিংহের নান্দাইলে নিরীহ শাহজাহান মিয়া (২৫) ও তার পরিবারের উপর জমি সংক্রান্ত জেরে আবু হানিফা ও হারুন মিয়া গংদের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গত বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাতুয়াদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে নিরীহ পরিবারের ৫ জনকে মারধর গুরুতর আহত করে, বাড়িঘর ভাংচুর করে তছনছ করে বিভিন্ন জিনিসপত্র
চট্টগ্রামে, লুঠপাট করে।
এ ঘটনায় ভোক্তভোগী শাহজাহান বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় বাতুয়াদী গ্রামের জুবেদ আলীর পুত্র আবু হানিফা (৫৮),হারুন মিয়া (৩৫), গংদের ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন।
নান্দাইল মডেল থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে- জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বাতুয়াদী গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর পুত্র শাহজাহান মিয়ার (২৫) সাথে তারই মামা আবু হানিফা ও হারুন মিয়া গংদের জমি সংক্রান্ত বিষয়াদী নিয়ে মামলা চলছিল।
গত বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাড়িতে ঢুকে শাহজাহানের মামা সিদ্দিক মিয়া (৩০), মামী লাইলী আক্তার (২৫),প্রতিবেশী নানী রিনা আক্তার (৫৬) কে মারধর করে। আহতদের নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আবারও আসামী সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন বাড়ি ঘরে হামলা করে বাড়ীঘর ভাংচুর ও মালামাল লুট পাট করে।
এতে শাহজাহানের মা নূরজাহান আক্তার (৬০),ভাই বোরহান মিয়া (১৭) বাঁধা দিলে তাদের কে মারধর করে শ্লীলতাহানি ও রক্তাক্ত করে।
এদিকে বর্তমান ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহরাবকে জানালে বিচারের নামে নূরজাহান আক্তার ও লাইলী আক্তারকে মারধর করে।
হামলাকারীদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে টিনের বসতঘর, গোয়াল ঘর, কুপিয়ে ভাংচুর করে। ঘরে থাকা দুটি খাট, একটি সুকেজ, ফ্রিজ,সেলাই মেশিন,লেপ,তোষক সহ প্রায় ৪,০০,০০০ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এছাড়াও ঘরের ড্রয়ারে থাকা ১,২০,০০০ নগদ টাকা, দলিল পত্র ওমূল্যবান কাগজ পত্র,একটি ষাড় ও ১টি বকনা গরু আনুমানিক মূল্য ১,৩০,০০০ টাকা নিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে আশে পাশের লোকজন জড়ো হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবু হানিফাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার ছেলে আকামিন বলেন এঘটনার সাথে আমরা জড়িত না।
ভোক্তভোগী শাহজাহান মিয়া বলেন- ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। হামলাকারীদের সঠিন বিচার দাবি করছি।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বলেন- এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত বিষয় পক্রিয়াধীন।