মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ২০২৪ সালের (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার পূর্ব সুখাতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল এসএসসি পরীক্ষার্থীই ফেল করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭ জন। তার মধ্যে ২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে নাই। ৫ জন মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫ জনই ফেল করে।
জানা গেছে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর ২০১০ সালে জুনিয়র পর্যায়ের (অষ্টম শ্রেণি) পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয় বিদ্যালয়টি। এরপর ২০১২ সালের পর থেকে নবম দশম শ্রেণির পাঠদান পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে। গত বছরে এসএসসি পরীক্ষায় ৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৫ জন পাস করে। বর্তমানে ঐ বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২০৬ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে প্রধান শিক্ষক সহ মোট শিক্ষক রয়েছেন ৮ জন। আগামী এসএসসি পরীক্ষার জন্য ৯ম শ্রেণিতে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
ফলাফল প্রকাশের পর বিদ্যালয়টির শতভাগ পরীক্ষার্থী ফেল করার বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে, অভিভাবকগন চিন্তিত হয়ে পড়ে পাশাপাশি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শতভাগ ফেল করার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেম বলেন, করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে ক্লাস করতে পারে নাই বিধায় শিক্ষার্থীরা সে সময় ছিল পিছিয়ে, তবে আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। আগামীতে এসব কাটিয়ে উঠে ভালো ফলাফল করবে বলে প্রধান শিক্ষক আসা প্রকাশ করেন। সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, অনেকে শুধু শিক্ষকদের দোষের কথা বলে, আমি মনে করি অভিভাবকরা একটু সচেতন হলে এই বিপর্যয় হতো না।
স্থানীয় একাধিক অভিভাবক অভিযোগ তুলে বলেন, স্কুলের শিক্ষকদের পাঠদানের বিষয়টি কঠিন এবং কঠোর ভাবে মনিটরিং করলে শিক্ষার্থীদের আজ এ অবস্থা হতো না। উল্লেখ্য, কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলা থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় মোট ২২ হাজার ৪৫৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছেন ১৬ হাজার ৪৫৫ জন। মোট পাসের হার ৭৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৯১ জন।
পূর্ব সুখাতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষার্থী ফেল করার বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শামছুল আলম বলেন, এসব স্কুলের বেতন বন্ধ হওয়া দরকার। প্রধান শিক্ষকরা নিজেদের মতো করে প্রতিষ্ঠান চালায়। করোনাকালীন সময় শেষ হওয়ার ৩ বছর পরেও করোনার দোহাই দেয়াটা অযৌক্তিক বলে মনে হয়।