নওগাঁয় ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেল ৭৬ জন
- আপডেট সময় : ০২:৩১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৭ বার পঠিত
নওগাঁয় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৪ এর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ শেষে রাতেই উত্তীর্ণ মোট ৭৬ জনের নাম ঘোষণা করেন নওগাঁর পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. কুতুব উদ্দিন।
উত্তীর্ণ ৭৬ জনের মধ্যে ১২ জন নারী ও ৬৪ জন পুরুষ রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২ জন ও ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি কোটায় ১ জন চাকরি পেয়েছেন। এছাড়া আরও ৬ জনকে অপেক্ষমান তালিকায় রেখে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। মেডিকেল ও পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে উত্তীর্ণদের যোগদান করানো হবে।
নিয়োগপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। মাত্র ১২০ টাকা খরচ করেই চাকরি পেয়েছেন।
চাকরি পেয়ে উচ্ছ্বসিত জুবায়ের আল মামুন বলেন, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। সাংসারিক খরচসহ তার পড়ালেখার জন্য মা-বাবা অনেক কষ্ট করেছেন। একটা চাকরির জন্য খুব আশায় ছিলেন। কোনো ঘুষ কিংবা তদবির ছাড়াই মেধার মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন বলে খুব খুশি তিনি।
নতুন নিয়োগ পাওয়া কারিনা আক্তার আনন্দে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, নিজ যোগ্যতায় চাকরি পেয়ে মা-বাবার মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। তাদের কষ্ট সফল হয়েছে আজ। পরিবারের সবাই আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। আমি তাদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। সবাই বলে পুলিশে চাকরি পেতে অনেক টাকা ঘুষ দিতে হয়। আমার মাঝেও তেমন ধারণা ছিল। কিন্তু আমার কোনো প্রকার তদবির বা ঘুষ দিতে হয়নি। আমি দেশ ও জাতির সেবা করতে চাই।
সদ্য চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পুলিশ সুপার মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, কোনো তদবির ছাড়াই সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হয়েছে। চাকরি পেতে প্রত্যেক প্রার্থীকে মাত্র ১২০ টাকা খরচ করতে হয়েছে। রাষ্ট্রের সেবায় মেধাবী ও দক্ষ পুলিশ জনবল নিশ্চিত করতে পেরে ভালো লাগছে। এসব মেধাবীরা দ্রুত পুলিশের বিভিন্ন কৌশল ও পাঠগুলো আয়ত্ত করতে পারবে। এতে আগের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষ পুলিশ বিভাগ গড়ে উঠবে বলে আশা করছি।
এদিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সম্পন্ন করতে নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন, দুজন আইজিপি প্রতিনিধি ও দুজন ডিআইজি প্রতিনিধি সার্বক্ষনিক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দালাল ও প্রতারকের খপ্পরে পড়ে কেউ যাতে আর্থিক লেনদেন না করেন সে জন্য জেলাজুড়ে প্রচারণা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত ছিল।