নওগাঁর ওপর দিয়ে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট। গত দুইদিন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও আজ কিছুটা কম।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
সদরের বাইপাস এলাকার কৃষক রাজ্জাক বলেন, গত দুইদিন কুয়াশা কম ছিল। আজকে আবারও এতো পরিমাণ কুয়াশা পড়েছে যে, কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। এর কারণে খুব ঠান্ডা পড়েছে। শিবপুর বাইপাস এলাকার রিকশাচালক বলেন, আজকে প্রচণ্ড কুয়াশা ও ঠান্ডা পড়েছে। কুয়াশার কারণে রিকশা চালানো যাচ্ছে না। হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীওে চালাতে হচ্ছে। আমাদের ভাড়াও কমে গেছে।
বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বলেন, রবিবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।