নওগাঁর পোরশায় নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় এক পাষন্ড পিতাকে (৪১) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক। একই আসামীর এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় প্রদান করেছেন।
জরিমানার অর্থ ধর্ষণের শিকার মেয়েকে প্রদানের নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক। মামলায় আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শুভ্র সাহা। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আসামীপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করবেন মর্মে জানান। রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌশলী ছিলেন আইনজীবী মকবুল হোসেন।
আদালতে মামলা সূত্রে জানা যায়- ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর জেলার পোরশা উপজেলার পোরশা গ্রামের গেনা হুজুরের বাড়ি থেকে মেয়েকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলে এক বাবা। পথিমধ্যে সন্ধ্যা নেমে আসায় সাড়ে ৬টায় গণেশপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তার পাশে নূর হোসেনের আমের নার্সারী বাগানে নির্জন এলাকায় মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ওই বাবা। মেয়ে বাড়িতে এসে তার মাকে ঘটনা জানিয়ে দেয়। ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পোরশা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে আসামী বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০২২ সালে ১৯ মে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হয়ে চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন সমাপ্ত করা হয়। গত মঙ্গলবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শ্রবন করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার জন্য ধার্য হলে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার জনাকীর্ণ আদালতে ধর্ষণের শিকার মেয়ের পিতাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ প্রদান করেন। আসামী পূর্ব থেকেই জেল হাজতে থাকায় তাকে প্রদত্ত সাজা পড়ে শুনানো হয়।