ঢাকার ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নে আকশির নগর আবাসন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম কর্তৃক জোরপূর্বক দখলকৃত মাখুলিয়া গ্রামসহ ৭ গ্রামের ১৩ টি মৌজার ৮০ হিন্দু জেলে পরিবারের বসতভিটা ও শতাদিক কৃষকের কৃষিজমি বুঝিয়া পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা।
এ সময় তারা অবৈধ আকসির নগরের ভূমিদস্যু ও দালার বাহিনীর গ্রেফতার ও শাস্তির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের মাখুলিয়া গ্রামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কুল্লা ইউনিয়ন সংখ্যালঘু কৃষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে প্রায় শতাধিক ভুক্তভোগী পরিবার এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তারা বলেন, কুল্লা ইউনিয়নের মাখুলিয়া গ্রামসহ ৭টি এলাকাবাসীর ৮০টি পরিবার নিঃস্ব করে ভুমিদস্যু তৌহিদ বিশাল এক বাগানবাড়ি তৈরী করেছে। যেখানে বসে তারা নেশা করে।
নারী ঘটিত কাজ করে। তারা জোর করে আমাদের জমিতে বালি ফেলে ভরাট করে রেখেছে। আমরা কোনো ধরণের কৃষি কাজ করতে পারছি না।
আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালায়। বিভিন্ন মামলা দেয়। তাদের ভারাটে সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। তাদের দিয়ে বাড়ী ভাংচুর করে।
নারী দিয়ে ধর্ষণ মামলা দেয়। আমরা প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাই যে,আমরা আমাদের কৃষি জমি ফেরত চাই। ভুমিদস্যু তৌহিদ বাহিনীর বিচার চাই।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ষাটোর্ধ্ব জগৎ তারা বলেন, ভুমিদস্যু তৌহিদ আমার বাড়ীঘর ভাংচুর করছে। বাড়ীঘর ভাংচুর করে আমাকে এলাকা থেকে বের করে দিছে। তৌহিদ আমার ঘারবাড়ী ভাংচুর করে সেখানে অফিস করেছে।
আমি ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেক দিন নৌকায় নৌকায় বাস করছি। এখন আমি একটি বাড়ীতে ভাড়া থাকি। আমার চার ছেলেমেয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া থাকে। ভয়ে এলাকায় আসে না। আমরা সব চোখে দেখি কিন্তু বলতে পারি না।আমি তৌহিদের বিচার চাই। আমার ঘরবাড়ি ফেরত চাই।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, ভুমিদস্যু তৌহিদ দালাল ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের ৭টি মৌজার কৃষকদের জমি না কিনে অবৈধভাবে জোর করে ভরাট করেছে। যেই প্রতিবাদ করতে যায় তাকেই সে মিথ্যা মামলা দেয়। সে বহু মানুষকে মারধর করেছে। সে সাভার থেকে ভাড়া করা সন্ত্রাসী দিয়ে বহু বাড়ী ভাংচুর করেছে। এ সময় তিনি ভূমিদস্যুদের হাত থেকে অসহায় কৃষকদের বাঁচাতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বৃহত্তর ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, আমি এই ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে কথা বলেছি বলে আমার নামেও ৫ টা মিথ্যা মামলা দিয়েছে, ঔ ভূমিদূস্য, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী তৌহিদ দালাল। তার বিরুদ্ধে যেই কথা বলতে যায় সে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকে।