ঢাকা ০২:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম

দ্বাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন অধ্যাপক ডাঃ মোহাঃ শেখ শহীদ উল্লাহ

মোঃ ফসিয়ার রহমান- পাইকগাছা (খুলনা)
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩ ২৬৪ বার পঠিত

“উচ্চ শিক্ষিত ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়ীক, তৃণমূল ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা ডা. মোহা শহীদ উল্লাহ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় অনুপ্রেরিত ডা. মোহা. শহীদ উল্লাহ

সংসদীয় আসন ১০৪ ও খুলনা-৬ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। সেই লক্ষ্যে দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় পরবর্তী জমা দিয়েছেন। মোহা. শহীদ উল্লাহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনবার। শেষবার ১৯৯৪-৯৫ সালে রামেকসুতে সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসাবে প্রথম বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেন। ঢাকার ২৯ মিন্টু রোড তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন রামেকসু বিজয়ী ডা. শহীদ উল্লাহ সহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

সেদিন রাজশাহী মেডিকেলের ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে পরম আদরে আর স্নেহের মায়ায় আবদ্ধ করেছিলেন বাঙালীর আশা আকাক্সক্ষার ঠিকানা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমবারের মত নেত্রীর সাথে সাক্ষাতের পর ডা. শহীদ উল্লাহকে আর পিছনে ফিরে তাকাননি। ক্যাম্পাসে ফিরে “ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল কর-মুজিব হত্যার বিচার কর”, “তোমার আমার ঠিকানা-পদ্মা মেঘনা যমুনা”, “তুমি কে আমি কে-বাঙালী বাঙালী” শ্লোগানে মুখরিত রেখেছিলেন রাজশাহী মেডিকেল ক্যাম্পাস। ১৯৯১ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলেও পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির সাথে পরিচয় স্কুল জীবন থেকেই। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে অধ্যয়ন কালে ৪ বার ছাত্রলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমবার সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং পর্যায়ক্রমে সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি নির্বাচিত হন। রাজশাহীতে তার ছাত্ররাজনীতির পথ মসৃণ ছিলনা। ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের নির্যাতনে হল এবং ক্যাম্পাস ছেড়ে কঠিন অনিশ্চয়তায় কাটাতে হয়েছে প্রায় দেড় বছর। হয়েছেন মিথ্যা মামলার শিকার। ১৯৯৬ এবং ১২ই জুন এদেশের জনগণের ভোট-ভাতের আন্দোলনে ও নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে ডা. শহীদ উল্লাহ আবার ক্যাম্পাসে এসে পড়ালেখার সুযোগ পান। সেদিন যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসত তাহলে হয়ত জীবনে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতোনা।

১৯৯৮ সালে এমবিবিএস পাস করার মাধ্যমে চিকিৎসা পেশায় যাত্রা শুরু। নির্বাচিত হন ইন্টার্ণ চিকিৎসক পরিষদের আহ্বায়ক এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের রাজশাহী জেলা শাখার কার্যকরী পরিষদের সদস্য। ১৯৯৯ এর ৬ই জুন রাজশাহী মেডিকেল ছাত্রলীগের আনুষ্ঠানিক সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতির ইতি ঘটান, যে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সভাপতি মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। সে বছর রাজশাহী ছেড়ে ঢাকায় এসে শুরু করেন পেশাজীবী রাজনীতি।

বিএমএ এর সেন্ট্রাল কাউন্সিলর এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (২০০২) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ডা. শহীদ উল্লাহ এদেশের চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এর দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন ২০১৬ সালের ডিসেম্বর এবং অদ্যাবধি নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্র রাজনীতি, পেশাজীবী রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ঝুঁকে পড়েন জাতীয় রাজনীতিতে। খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পরপর দুইবার। এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা এবং অর্থ উপণ্ডকমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৯৮ সালে এমবিবিএস পাস করেই তিনি পড়ালেখা থেকে পিছিয়ে থাকেননি। ডা. শহীদ উল্লাহ ২০০৭ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে মাইক্রোবায়োলজি বিষয়ে এমফিল এবং ২০১৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডায়বেটিস বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। ২০০০ সালে খুলনা মেডিকেল কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০১৫ সালে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় চাকরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর দীর্ঘদিন তিনি আদ্ব-দ্বীন মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। রাজনীতি চাকরীর পাশাপাশি তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় তিনটি চিকিৎসাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। পাইকগাছা ডায়বেটিস সমিতি, কয়রা ডায়বেটিস সেন্টার এবং কপিলমুণি ডায়বেটিস সেন্টারে সপ্তাহের শুক্রবার ও শনিবার বিনামূল্যে/স্বল্পমূল্যে এলাকার রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। পাশাপাশি দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তদের ঢাকা, খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি/চিকিৎসায় তিনি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন।

নির্বাচনী এলাকায় তিনি শতাধিক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করেছেন। শুধু চিকিৎসা সেবা নয় শিক্ষা-ক্রীড়ায় তিনি এলাকার মানুষের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেন। তিনি দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি এবং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দূর্নীতি, ধূমপান-মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা ডা. শহীদ উল্লাহর একমাত্র স্বপ্ন এলাকার মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করা। তার পিতা শেখ মোহাম্মদ আলীও ছিলেন একজন সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ, যিনি দীর্ঘদিন পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মা-সুখজাহান বিবিও ছিলেন একজন জনদরদী গৃহিনী। মা-বাবার আদর্শকে ধরে রেখে বাকী জীবন মানব সেবায় কাটাতে চান এই মেধাবী চিকিৎসক।

দ্বাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন অধ্যাপক ডাঃ মোহাঃ শেখ শহীদ উল্লাহ

আপডেট সময় : ১১:২৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

“উচ্চ শিক্ষিত ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়ীক, তৃণমূল ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা ডা. মোহা শহীদ উল্লাহ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় অনুপ্রেরিত ডা. মোহা. শহীদ উল্লাহ

সংসদীয় আসন ১০৪ ও খুলনা-৬ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। সেই লক্ষ্যে দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় পরবর্তী জমা দিয়েছেন। মোহা. শহীদ উল্লাহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনবার। শেষবার ১৯৯৪-৯৫ সালে রামেকসুতে সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসাবে প্রথম বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেন। ঢাকার ২৯ মিন্টু রোড তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন রামেকসু বিজয়ী ডা. শহীদ উল্লাহ সহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

সেদিন রাজশাহী মেডিকেলের ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে পরম আদরে আর স্নেহের মায়ায় আবদ্ধ করেছিলেন বাঙালীর আশা আকাক্সক্ষার ঠিকানা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমবারের মত নেত্রীর সাথে সাক্ষাতের পর ডা. শহীদ উল্লাহকে আর পিছনে ফিরে তাকাননি। ক্যাম্পাসে ফিরে “ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল কর-মুজিব হত্যার বিচার কর”, “তোমার আমার ঠিকানা-পদ্মা মেঘনা যমুনা”, “তুমি কে আমি কে-বাঙালী বাঙালী” শ্লোগানে মুখরিত রেখেছিলেন রাজশাহী মেডিকেল ক্যাম্পাস। ১৯৯১ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলেও পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির সাথে পরিচয় স্কুল জীবন থেকেই। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে অধ্যয়ন কালে ৪ বার ছাত্রলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমবার সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং পর্যায়ক্রমে সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি নির্বাচিত হন। রাজশাহীতে তার ছাত্ররাজনীতির পথ মসৃণ ছিলনা। ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের নির্যাতনে হল এবং ক্যাম্পাস ছেড়ে কঠিন অনিশ্চয়তায় কাটাতে হয়েছে প্রায় দেড় বছর। হয়েছেন মিথ্যা মামলার শিকার। ১৯৯৬ এবং ১২ই জুন এদেশের জনগণের ভোট-ভাতের আন্দোলনে ও নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে ডা. শহীদ উল্লাহ আবার ক্যাম্পাসে এসে পড়ালেখার সুযোগ পান। সেদিন যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসত তাহলে হয়ত জীবনে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতোনা।

১৯৯৮ সালে এমবিবিএস পাস করার মাধ্যমে চিকিৎসা পেশায় যাত্রা শুরু। নির্বাচিত হন ইন্টার্ণ চিকিৎসক পরিষদের আহ্বায়ক এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের রাজশাহী জেলা শাখার কার্যকরী পরিষদের সদস্য। ১৯৯৯ এর ৬ই জুন রাজশাহী মেডিকেল ছাত্রলীগের আনুষ্ঠানিক সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতির ইতি ঘটান, যে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সভাপতি মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। সে বছর রাজশাহী ছেড়ে ঢাকায় এসে শুরু করেন পেশাজীবী রাজনীতি।

বিএমএ এর সেন্ট্রাল কাউন্সিলর এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (২০০২) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ডা. শহীদ উল্লাহ এদেশের চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এর দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন ২০১৬ সালের ডিসেম্বর এবং অদ্যাবধি নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্র রাজনীতি, পেশাজীবী রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ঝুঁকে পড়েন জাতীয় রাজনীতিতে। খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পরপর দুইবার। এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা এবং অর্থ উপণ্ডকমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৯৮ সালে এমবিবিএস পাস করেই তিনি পড়ালেখা থেকে পিছিয়ে থাকেননি। ডা. শহীদ উল্লাহ ২০০৭ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে মাইক্রোবায়োলজি বিষয়ে এমফিল এবং ২০১৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডায়বেটিস বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। ২০০০ সালে খুলনা মেডিকেল কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০১৫ সালে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় চাকরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর দীর্ঘদিন তিনি আদ্ব-দ্বীন মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। রাজনীতি চাকরীর পাশাপাশি তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় তিনটি চিকিৎসাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। পাইকগাছা ডায়বেটিস সমিতি, কয়রা ডায়বেটিস সেন্টার এবং কপিলমুণি ডায়বেটিস সেন্টারে সপ্তাহের শুক্রবার ও শনিবার বিনামূল্যে/স্বল্পমূল্যে এলাকার রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। পাশাপাশি দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তদের ঢাকা, খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি/চিকিৎসায় তিনি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন।

নির্বাচনী এলাকায় তিনি শতাধিক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করেছেন। শুধু চিকিৎসা সেবা নয় শিক্ষা-ক্রীড়ায় তিনি এলাকার মানুষের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেন। তিনি দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি এবং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দূর্নীতি, ধূমপান-মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা ডা. শহীদ উল্লাহর একমাত্র স্বপ্ন এলাকার মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করা। তার পিতা শেখ মোহাম্মদ আলীও ছিলেন একজন সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ, যিনি দীর্ঘদিন পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মা-সুখজাহান বিবিও ছিলেন একজন জনদরদী গৃহিনী। মা-বাবার আদর্শকে ধরে রেখে বাকী জীবন মানব সেবায় কাটাতে চান এই মেধাবী চিকিৎসক।