ঢাকা ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

দেবহাটায় ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত

আব্দুল্লাহ আল মামুন- দেবহাটা (সাতক্ষীরা):
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ৪২ বার পঠিত

আধুনিক সভ্যতা ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে দেবহাটা উপজেলায় সখিপুর ইউনিয়নের অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিলুপ্ত প্রায় এ লাঠি খেলা। ঢাক-ঢোলের বাজনা আর গানের সুরের তালে তালে চলে লাঠিয়ালদের লাঠির কসরত।

খেলায় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে পাল্টা আঘাত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন লাঠিয়ালরা। হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা দেখতে সেখানে ভীড় জমায় হাজরো দর্শক।

বুধবার বেলা ২ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার সখিপুর ইউনিয়ন ধোপাডাঙ্গা মোড় প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় এ লাঠি খেলার।এ আয়োজনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বয়ে যায় পুরো এলাকায়। এমন আয়োজন যেন প্রতি বছর হয় এমন দাবি জানিয়েছেন।খেলা পরিচালক আয়ুব হোসেনর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এতে অতিথি ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী জি এম স্পর্শ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদিক রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের প্রভাষক আবু হাসান।

অনুষ্ঠান দেখতে আসা সাইন নামে একজন বলেন, লাঠি খেলা হচ্ছে গ্রাম বাংলার প্রাণের খেলা। কিন্তু আধুনিকতার নামে এসব খেলা দিনে দিনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এ ধরণের খেলাধুলার বেশি বেশি আয়োজন করলে নতুন প্রজম্মের ছেলে-মেয়েরা উৎসাহিত হবে।

আরো বলেন আমাদের বাপ-দাদারা এসব খেলা খেলতো। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গা গিয়ে লাঠি খেলা খেলেছে। কিন্তু সময় বদলের সাথে সাথে লাঠিয়ালদের কদরও কমে গেছে। এখন খেলা খুব একটা হয় না। মাঝেমধ্যে ডাক পড়লে মনে আনন্দ নিয়েই এই খেলা খেলি। এ খেলা বাঁচিয়ে রাখতে হলে বেশি বেশি খেলার আয়োজন করা দরকার।

অনুষ্ঠানের সখিপুর ইউনিয়নের সুযোগ্য চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ খেলাধুলা কমে যাওয়ায় যুব সমাজ মাদকের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। তাই যুব সমাজকে মাদকের পথ থেকে দূরে রাখতে এ ধরনের আয়োজন করা প্রয়োজন। গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই প্রতি বছরই এ ধরেনর আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।

দেবহাটায় ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৯:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

আধুনিক সভ্যতা ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে দেবহাটা উপজেলায় সখিপুর ইউনিয়নের অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিলুপ্ত প্রায় এ লাঠি খেলা। ঢাক-ঢোলের বাজনা আর গানের সুরের তালে তালে চলে লাঠিয়ালদের লাঠির কসরত।

খেলায় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে পাল্টা আঘাত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন লাঠিয়ালরা। হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা দেখতে সেখানে ভীড় জমায় হাজরো দর্শক।

বুধবার বেলা ২ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার সখিপুর ইউনিয়ন ধোপাডাঙ্গা মোড় প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় এ লাঠি খেলার।এ আয়োজনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বয়ে যায় পুরো এলাকায়। এমন আয়োজন যেন প্রতি বছর হয় এমন দাবি জানিয়েছেন।খেলা পরিচালক আয়ুব হোসেনর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এতে অতিথি ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী জি এম স্পর্শ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদিক রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের প্রভাষক আবু হাসান।

অনুষ্ঠান দেখতে আসা সাইন নামে একজন বলেন, লাঠি খেলা হচ্ছে গ্রাম বাংলার প্রাণের খেলা। কিন্তু আধুনিকতার নামে এসব খেলা দিনে দিনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এ ধরণের খেলাধুলার বেশি বেশি আয়োজন করলে নতুন প্রজম্মের ছেলে-মেয়েরা উৎসাহিত হবে।

আরো বলেন আমাদের বাপ-দাদারা এসব খেলা খেলতো। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গা গিয়ে লাঠি খেলা খেলেছে। কিন্তু সময় বদলের সাথে সাথে লাঠিয়ালদের কদরও কমে গেছে। এখন খেলা খুব একটা হয় না। মাঝেমধ্যে ডাক পড়লে মনে আনন্দ নিয়েই এই খেলা খেলি। এ খেলা বাঁচিয়ে রাখতে হলে বেশি বেশি খেলার আয়োজন করা দরকার।

অনুষ্ঠানের সখিপুর ইউনিয়নের সুযোগ্য চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ খেলাধুলা কমে যাওয়ায় যুব সমাজ মাদকের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। তাই যুব সমাজকে মাদকের পথ থেকে দূরে রাখতে এ ধরনের আয়োজন করা প্রয়োজন। গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই প্রতি বছরই এ ধরেনর আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।