ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর খোলা হল সিংগা বাজারের চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

ইমরান হোসেন মনিম-রাজবাড়ী:
  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪ ৩০ বার পঠিত

module:0facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: Night; cct_value: 5468; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 247.05225; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;

রাজবাড়ী জেলা সদরের দাদশী ইউনিয়নের সিংগা নিজাতপুর বাজারে দুই পক্ষের মারপিটের ঘটনায় চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা তালা মেরে বন্ধ করে দেয় প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেলোর লোকজন।

ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সিংগা নিজাতপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মেসার্স খান ট্রেডার্সের মালিক মো. আজাহার আলীর সিমেন্টের গোডাউনে থাকা ৬শ বস্তা সিমেন্ট জমাট হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।

এতে তার সাড়ে তিন লক্ষ টাকার সিমেন্ট নষ্ট হয়েছে বলে জানান তিনি।প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করে দেওয়ায় তার এ দুই মাসে সিমেন্ট সহ বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিন।

এদিকে এ বাজারে শেখ ‘স’ মিল নামে কাঠ চিড়াই মিলটিও দুই মাস ধরে বন্ধ করে রাখেন চেয়ারম্যানের লোকজন।পরে মিলের মালিকের কাছে বাজার কমিটির মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকা দিলে খুলে দেওয়ার দেওয়ায় অফার দেওয়া হয়।টাকা না দেওয়ায় এ্যাতদিন মিলটি বন্ধ রাখা হয়েছিল জানান মিল মালিক আসলাম শেখ।

শনিবার সকাল এগারোটার দিকে বাজার লোকজনের সহযোগীতায় সভাপতি আজাহার আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শেখ ‘স’ মিল৷ সহ বন্ধ প্রতিষ্ঠান খুলে কার্যক্রম শুরু করেন তারা। তবে বাজারের পাশে থাকা শতাধিক শিশু কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজাতপুর আ. করিম খান হাফেজিয়া মাদ্রাসাটি এখনো বন্ধ রয়েছে। বাজারে মারপিটের ঘটনার পর চেয়ারম্যানের আত্মীয় স্বজন মিলে মাদ্রাসাটি তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়।এতে শিশুরা গত দুই মাস তাদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।এসময়, বন্ধ তালা ভেঙ্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেন বাজারের লোকজন ও মালিক পক্ষ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মজিবর শেখ,আ. রাজ্জাক খান, মোজাহার খান,মজিবর খান,বেলায়েত খান,সাবেক মেম্বার শাখাওয়াত হোসেন সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।তবে বাজার কমিটির সদস্যদের জানানো হলেও তারা কেউ মার্কেট খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন না।

উল্লেখ্য গত কোরবানির ঈদে গরু ছাগলের হাঁটের ইজারার টাকা হাঁটে কর্মরত সদস্যদের পাওনা টাকা না দেওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।এতে চেয়ারম্যান সহ উভয় পক্ষের ৮/১০ জন জখম হয়।পরে চেয়ারম্যান পক্ষ প্রবাসী আকবর খান সহ ১০/১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে চেয়ারম্যানের বাবা। পরে এ ঘটনার জেরে আকবর খানের ভাই সহ তার আত্মীয় স্বজনদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয় চেয়ারম্যান পক্ষ ।

বাজার কমিটির নির্বাচিত সভাপতি আজাহার আলী বলেন,ঈদের পর মারপিটের ঘটনায় আমার দোকান বন্ধ করে রাতে বাড়ি যাই।এর পরদিন দোকানে এসে দেখি দোকান গোডাউন তালাবদ্ধ।এই মারপিটের ঘটনায় আমার নামে মামলাও করে দেলোয়ার চেয়ারম্যান।আজ শনিবার দুই মাস পরে বাজারের মানুষের সহযোগীতায় তালা ভেঙ্গে দোকান খুলেছি।তবে গোডাউনের তালা খুলে দেখি ৬ শ বস্তা সিমেন্ট নষ্ট হয়ে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
দাদশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার শেখ দেলো জানান,ঈদের সময় গরু হাটকে কেন্দ্র করে আমি সহ আমাদের আমাদের বাড়ির লোকজনদের মারপিট করে। এখন উল্টো তারাই তাদের দোকানপাট ও মাদ্রাসা বন্ধ করে আমার নাম দিচ্ছে।

বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. সুমন শেখ বলেন,দোকানে কারা তালা লাগিয়েছে আমি তা জানিনা।আর আজকে দোকান খুলবে কিনা আমাকে কেউ কিছু জানায়নি।দোখান খোলার বিষয়ে আমাকে জানালে আমি থাকতাম সমস্যস ছিলোনা।

দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর খোলা হল সিংগা বাজারের চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

আপডেট সময় : ০৭:২৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

রাজবাড়ী জেলা সদরের দাদশী ইউনিয়নের সিংগা নিজাতপুর বাজারে দুই পক্ষের মারপিটের ঘটনায় চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা তালা মেরে বন্ধ করে দেয় প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেলোর লোকজন।

ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সিংগা নিজাতপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মেসার্স খান ট্রেডার্সের মালিক মো. আজাহার আলীর সিমেন্টের গোডাউনে থাকা ৬শ বস্তা সিমেন্ট জমাট হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।

এতে তার সাড়ে তিন লক্ষ টাকার সিমেন্ট নষ্ট হয়েছে বলে জানান তিনি।প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করে দেওয়ায় তার এ দুই মাসে সিমেন্ট সহ বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিন।

এদিকে এ বাজারে শেখ ‘স’ মিল নামে কাঠ চিড়াই মিলটিও দুই মাস ধরে বন্ধ করে রাখেন চেয়ারম্যানের লোকজন।পরে মিলের মালিকের কাছে বাজার কমিটির মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকা দিলে খুলে দেওয়ার দেওয়ায় অফার দেওয়া হয়।টাকা না দেওয়ায় এ্যাতদিন মিলটি বন্ধ রাখা হয়েছিল জানান মিল মালিক আসলাম শেখ।

শনিবার সকাল এগারোটার দিকে বাজার লোকজনের সহযোগীতায় সভাপতি আজাহার আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শেখ ‘স’ মিল৷ সহ বন্ধ প্রতিষ্ঠান খুলে কার্যক্রম শুরু করেন তারা। তবে বাজারের পাশে থাকা শতাধিক শিশু কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজাতপুর আ. করিম খান হাফেজিয়া মাদ্রাসাটি এখনো বন্ধ রয়েছে। বাজারে মারপিটের ঘটনার পর চেয়ারম্যানের আত্মীয় স্বজন মিলে মাদ্রাসাটি তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়।এতে শিশুরা গত দুই মাস তাদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।এসময়, বন্ধ তালা ভেঙ্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেন বাজারের লোকজন ও মালিক পক্ষ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মজিবর শেখ,আ. রাজ্জাক খান, মোজাহার খান,মজিবর খান,বেলায়েত খান,সাবেক মেম্বার শাখাওয়াত হোসেন সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।তবে বাজার কমিটির সদস্যদের জানানো হলেও তারা কেউ মার্কেট খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন না।

উল্লেখ্য গত কোরবানির ঈদে গরু ছাগলের হাঁটের ইজারার টাকা হাঁটে কর্মরত সদস্যদের পাওনা টাকা না দেওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।এতে চেয়ারম্যান সহ উভয় পক্ষের ৮/১০ জন জখম হয়।পরে চেয়ারম্যান পক্ষ প্রবাসী আকবর খান সহ ১০/১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে চেয়ারম্যানের বাবা। পরে এ ঘটনার জেরে আকবর খানের ভাই সহ তার আত্মীয় স্বজনদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয় চেয়ারম্যান পক্ষ ।

বাজার কমিটির নির্বাচিত সভাপতি আজাহার আলী বলেন,ঈদের পর মারপিটের ঘটনায় আমার দোকান বন্ধ করে রাতে বাড়ি যাই।এর পরদিন দোকানে এসে দেখি দোকান গোডাউন তালাবদ্ধ।এই মারপিটের ঘটনায় আমার নামে মামলাও করে দেলোয়ার চেয়ারম্যান।আজ শনিবার দুই মাস পরে বাজারের মানুষের সহযোগীতায় তালা ভেঙ্গে দোকান খুলেছি।তবে গোডাউনের তালা খুলে দেখি ৬ শ বস্তা সিমেন্ট নষ্ট হয়ে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
দাদশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার শেখ দেলো জানান,ঈদের সময় গরু হাটকে কেন্দ্র করে আমি সহ আমাদের আমাদের বাড়ির লোকজনদের মারপিট করে। এখন উল্টো তারাই তাদের দোকানপাট ও মাদ্রাসা বন্ধ করে আমার নাম দিচ্ছে।

বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. সুমন শেখ বলেন,দোকানে কারা তালা লাগিয়েছে আমি তা জানিনা।আর আজকে দোকান খুলবে কিনা আমাকে কেউ কিছু জানায়নি।দোখান খোলার বিষয়ে আমাকে জানালে আমি থাকতাম সমস্যস ছিলোনা।