ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

দিনাজপুরের হিলিতে জিরার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে

মোঃ ওয়াজ কুরনী- দিনাজপুর:
  • আপডেট সময় : ০৭:০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩ ৪২ বার পঠিত

দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে ৮০০ টাকার জিরা বর্তমানে কেজিতে ৩০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়। হঠাৎ দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা। বেশি দামে কিনতে হয়েছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলছেন মসলা ব্যবসায়ীরা। শুল্ককর দ্বিগুণ করাতে দাম বৃদ্ধি হচ্ছে বলছেন আমদানি কারকরা। ১ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন জিরা আটকে আছে বন্দরে। আগের শুল্কে বন্দর থেকে জিরা খালাসের দাবি আমদানি কারকদের।

শনিবার (৫ আগষ্ট) দুপুরে হিলির মসলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩০০ টাকা পর্যন্ত। ৮০০ টাকার জিরা বিক্রি এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে। গত বছরেও এই জিরার কেজি ছিলো ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে। এভাবে দাম বাড়ায় চরম বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ।

বর্তমান জিরার শুল্ককর দ্বিগুণ করেছে সরকার। শুল্ককর যা আগে ছিল ১ হাজার ৮৫০ ডলার বর্তমানে সরকার শুল্ককর দ্বিগুণ করার পর সেটি নির্ধারিত হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ডলার। যার কারণে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে আমদানি কারকরা। বর্তমানে হিলি বন্দরে আটকে আছে পায় ১ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন জিরা। আগের শুল্ককরে এসব জিরা খালাসের দাবি করছেন আমদানি কারকরা।

হিলি বাজারে জিরা কিনতে আসা আব্দুল হালিম বলেন, বাজারে মসলা কিনতে আসেছি কিন্তু জিরার দাম শুনে মাথা ঘুরে গেলো। এর আগেও ৮০০ টাকা কেজি দরে কিনেছিলাম। আজ তা ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে কিনতে হলো। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সাধারণ ক্রেতাদের কি অবস্থা হবে?

বাজার করতে এসেছেন একজন ভ্যানচালক মজিবর রহমান। তিনি বলেন, আমরা গরীব মানুষ ভ্যান চালে খাই। এর আগে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় ১০০ গ্রাম জিরা নিয়েছিলাম। দাম বৃদ্ধির পর ৭০ টাকায় ১০০ গ্রাম কিনেছি। কিন্তু আজ ১১০ টাকায় ১০০ গ্রাম জিরা কিনলাম। এতো দাম বাড়লে আমরা কি করে চলবো?

হিলি বাজারের বিসমিল্লাহ মসলা ঘরের মালিক আওলাদ হোসেন শাওন বলেন, কিছুদিন আগেও আমরা ৯০০ টাকা কেজি জিরা বিক্রি করেছি। এখন দাম বেড়ে গেছে, আমরা ১ হাজার ৮০ টাকা কেজি পাইকারি ক্রয় করে তা ১ হাজার ৯০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কি কারণে দাম বাড়ছে তা আমরা বলতে পারছি না। তবে বন্দরে নাকি শুল্ক বাড়ার কারণে আমদানি কারকরা জিরা খালাস করছেন না।

এবিষয়ে হিলির সি এন্ড এফ এজেন্ট ও আমদানি-রপ্তানি কারক রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, হিলি বন্দরে জিরা নিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। গত এক সপ্তাহ আগে রাজস্ব বোর্ড থেকে হিলি কাস্টমসে নির্দেশনা আসছে, জিরার শুল্কায়ন বৃদ্ধির। আগে আমরা ১ হাজার ৮৫০ ডলারে জিরা আমদানি করতাম। বর্তমান তা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ ৩ হাজার ৫০০ ডলারে আমদানি করতে হবে। বিগত দিনে ৩০ মেট্রিকটন জিরা আমদানিতে ৩২ থেকে ৩৩ লাখ ডলার শুল্ক জমা দিতে হতো। বর্তমানে একই পরিমাণ জিরার শুল্ক দিতে হবে প্রায় ৬৫ থেকে ৬৭ লাখ ডলারে। এর কারণে জিরার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় ১ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন জিরা বন্দর অভ্যন্তরে আমরা আমদানি করে রেখেছি। এগুলো আমরা খালাস করছি না। যদি সরকার এই জিরাগুলো পূর্বের শুল্ক নেয় তাহলে জিরাগুলো খালাস করবো।

দিনাজপুরের হিলিতে জিরার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে

আপডেট সময় : ০৭:০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩

দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে ৮০০ টাকার জিরা বর্তমানে কেজিতে ৩০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়। হঠাৎ দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা। বেশি দামে কিনতে হয়েছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলছেন মসলা ব্যবসায়ীরা। শুল্ককর দ্বিগুণ করাতে দাম বৃদ্ধি হচ্ছে বলছেন আমদানি কারকরা। ১ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন জিরা আটকে আছে বন্দরে। আগের শুল্কে বন্দর থেকে জিরা খালাসের দাবি আমদানি কারকদের।

শনিবার (৫ আগষ্ট) দুপুরে হিলির মসলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩০০ টাকা পর্যন্ত। ৮০০ টাকার জিরা বিক্রি এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে। গত বছরেও এই জিরার কেজি ছিলো ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে। এভাবে দাম বাড়ায় চরম বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ।

বর্তমান জিরার শুল্ককর দ্বিগুণ করেছে সরকার। শুল্ককর যা আগে ছিল ১ হাজার ৮৫০ ডলার বর্তমানে সরকার শুল্ককর দ্বিগুণ করার পর সেটি নির্ধারিত হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ডলার। যার কারণে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে আমদানি কারকরা। বর্তমানে হিলি বন্দরে আটকে আছে পায় ১ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন জিরা। আগের শুল্ককরে এসব জিরা খালাসের দাবি করছেন আমদানি কারকরা।

হিলি বাজারে জিরা কিনতে আসা আব্দুল হালিম বলেন, বাজারে মসলা কিনতে আসেছি কিন্তু জিরার দাম শুনে মাথা ঘুরে গেলো। এর আগেও ৮০০ টাকা কেজি দরে কিনেছিলাম। আজ তা ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে কিনতে হলো। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সাধারণ ক্রেতাদের কি অবস্থা হবে?

বাজার করতে এসেছেন একজন ভ্যানচালক মজিবর রহমান। তিনি বলেন, আমরা গরীব মানুষ ভ্যান চালে খাই। এর আগে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় ১০০ গ্রাম জিরা নিয়েছিলাম। দাম বৃদ্ধির পর ৭০ টাকায় ১০০ গ্রাম কিনেছি। কিন্তু আজ ১১০ টাকায় ১০০ গ্রাম জিরা কিনলাম। এতো দাম বাড়লে আমরা কি করে চলবো?

হিলি বাজারের বিসমিল্লাহ মসলা ঘরের মালিক আওলাদ হোসেন শাওন বলেন, কিছুদিন আগেও আমরা ৯০০ টাকা কেজি জিরা বিক্রি করেছি। এখন দাম বেড়ে গেছে, আমরা ১ হাজার ৮০ টাকা কেজি পাইকারি ক্রয় করে তা ১ হাজার ৯০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কি কারণে দাম বাড়ছে তা আমরা বলতে পারছি না। তবে বন্দরে নাকি শুল্ক বাড়ার কারণে আমদানি কারকরা জিরা খালাস করছেন না।

এবিষয়ে হিলির সি এন্ড এফ এজেন্ট ও আমদানি-রপ্তানি কারক রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, হিলি বন্দরে জিরা নিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। গত এক সপ্তাহ আগে রাজস্ব বোর্ড থেকে হিলি কাস্টমসে নির্দেশনা আসছে, জিরার শুল্কায়ন বৃদ্ধির। আগে আমরা ১ হাজার ৮৫০ ডলারে জিরা আমদানি করতাম। বর্তমান তা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ ৩ হাজার ৫০০ ডলারে আমদানি করতে হবে। বিগত দিনে ৩০ মেট্রিকটন জিরা আমদানিতে ৩২ থেকে ৩৩ লাখ ডলার শুল্ক জমা দিতে হতো। বর্তমানে একই পরিমাণ জিরার শুল্ক দিতে হবে প্রায় ৬৫ থেকে ৬৭ লাখ ডলারে। এর কারণে জিরার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় ১ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন জিরা বন্দর অভ্যন্তরে আমরা আমদানি করে রেখেছি। এগুলো আমরা খালাস করছি না। যদি সরকার এই জিরাগুলো পূর্বের শুল্ক নেয় তাহলে জিরাগুলো খালাস করবো।