ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কৃষকদের মাঝে ফলের চারা এবং সবজি বীজ বিতরণ

মোঃওয়াজ কুরনী- দিনাজপুর:
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩ ৮০ বার পঠিত

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কৃষক-কৃষানীর মাঝে বিনামূল্য বিভিন্ন ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা এবং বিভিন্ন প্রকারের শাক-সবজির বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বিনামূল্য এসব চারা ও বীজ পেয়েছেন এই উপজেলার ১৩৭ জন।

বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলা কৃষি দফতরের উদ্দ্যোগে অনাবাদি পতিত জমি এবং বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় কৃষক-কৃষানীদের মাঝে এসব কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়।

এসব ফলজ ও ঔষধি চারা এবং শাক-সবজির বীজ সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান। এসব সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা খাদিজাতুল কুবরা এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রুহুল আমিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বৃন্দ।

২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের অধিনে একজন কৃষক বা কৃষাণী পেয়েছেন সারা বছর ফল দেয় এমন জাতের কাটিমন আম, আনার, সফেদা, লটকন, আমড়া এবং কাঠাল গাছের চারা।

এছাড়াও ঔষধি গাছ হিসেবে অর্জুন এবং ১৪ প্রকারের হাইব্রিড ও উন্নতজাতের শাকসবজির বীজ।

বিনামূল্যে এসব কৃষি উপকরণ পেয়েছেন ফাতেমা বেগম নামে এক নারী। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে কিছু জায়গা ফাঁকা পড়ে আছে। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে গাছের চারা ও বীজ পেলাম। পড়ে থাকা জায়গাতে এখন এসব চারা লাগাবো এবং শাকসবজির আবাদ করবো।’

মনোয়ার হোসেন নামে আরেকজন বলেন, ‘বিনামূল্যে শাকসবজির বীজ পেলাম। এসব বীজ বপণ করে ভালোভাবে পরিচর্যা করতে পারলে কমপক্ষে ৪-৫ মাস আর শাকসবজি কিনে খেতে হবে না। পাশাপাশি পড়ে থাকা জমিটাও আর ফাঁকা থাকলো না।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান বলেন, ‘পারিবারিক পর্যায়ে নিজেদের পুষ্টিগুণের চাহিদা মেটাতে বর্তমান সরকার এবং কৃষি বিভাগ নানা ধরণের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেছেন। মাঠ পর্যায়ে আমরা প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করছি। এসব প্রকল্প থেকে সফলতাও মিলছে আশানুরূপ।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কৃষকদের মাঝে ফলের চারা এবং সবজি বীজ বিতরণ

আপডেট সময় : ০৫:০১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কৃষক-কৃষানীর মাঝে বিনামূল্য বিভিন্ন ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা এবং বিভিন্ন প্রকারের শাক-সবজির বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বিনামূল্য এসব চারা ও বীজ পেয়েছেন এই উপজেলার ১৩৭ জন।

বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলা কৃষি দফতরের উদ্দ্যোগে অনাবাদি পতিত জমি এবং বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় কৃষক-কৃষানীদের মাঝে এসব কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়।

এসব ফলজ ও ঔষধি চারা এবং শাক-সবজির বীজ সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান। এসব সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা খাদিজাতুল কুবরা এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রুহুল আমিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বৃন্দ।

২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের অধিনে একজন কৃষক বা কৃষাণী পেয়েছেন সারা বছর ফল দেয় এমন জাতের কাটিমন আম, আনার, সফেদা, লটকন, আমড়া এবং কাঠাল গাছের চারা।

এছাড়াও ঔষধি গাছ হিসেবে অর্জুন এবং ১৪ প্রকারের হাইব্রিড ও উন্নতজাতের শাকসবজির বীজ।

বিনামূল্যে এসব কৃষি উপকরণ পেয়েছেন ফাতেমা বেগম নামে এক নারী। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে কিছু জায়গা ফাঁকা পড়ে আছে। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে গাছের চারা ও বীজ পেলাম। পড়ে থাকা জায়গাতে এখন এসব চারা লাগাবো এবং শাকসবজির আবাদ করবো।’

মনোয়ার হোসেন নামে আরেকজন বলেন, ‘বিনামূল্যে শাকসবজির বীজ পেলাম। এসব বীজ বপণ করে ভালোভাবে পরিচর্যা করতে পারলে কমপক্ষে ৪-৫ মাস আর শাকসবজি কিনে খেতে হবে না। পাশাপাশি পড়ে থাকা জমিটাও আর ফাঁকা থাকলো না।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান বলেন, ‘পারিবারিক পর্যায়ে নিজেদের পুষ্টিগুণের চাহিদা মেটাতে বর্তমান সরকার এবং কৃষি বিভাগ নানা ধরণের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেছেন। মাঠ পর্যায়ে আমরা প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করছি। এসব প্রকল্প থেকে সফলতাও মিলছে আশানুরূপ।