“দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাউকে দলে জায়গা দেওয়া যাবে না তাছাড়া দলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা বাজি করা যাবে না এবং দখল দারিত্বে কেউ থাকলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (৩১ শে আগেষ্ট) বিকাল চারটায় রাজবাড়ীর সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা বিএনপি। এসময় তারা বলেন, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি রয়েছে এবং এর আটটি ইউনিট কমিটি রয়েছে এর বাইরে গিয়ে কারও কাজ করার বা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কিছু করার সূযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির সাবেক সংসদ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম এই কমিটির সদস্য কিন্তু তিনি গত ৪৭ টি মিটিংয়ের মাত্র ১ টি মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। বিগত দিনের কোন আন্দোলন সংগ্রামে তার উপস্থিতি ছিল না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এই সরকারের পতনের পর সাবেক সংসদ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম আবার ওযার্কাস বিএনপি শুরু করেছেন এবং সেই সাথে দখল দারিত্ব শুরু করেছেন। তিনি সংসদ থাকা কালীল সময়ে বিএনপির নেতা কর্মীরা কোন সূযোগ সুবিধা পায় নাই সব খানেই ওয়ার্কাস পার্টির নেতা কর্মীদের দিয়ে কমিটি করেছে। রাজবাড়ী বালু মহল যেমন দখল করেছে বালু মালেক তেমনি ঘাট দখল করিয়েছে মুন্নু মোল্লাকে দিয়ে তারা সবাই ওয়ার্কাস পার্টির নেতা কর্মী তারা আবারও সক্রিয়। ইতিমধ্যে দৌলতদিয়া ঘাট সেই সাবেকদের দখলে। বিএনপির কোন নেতাকর্মী কোন দখল দারিত্বে নেই।
জেলা বিএনপি উপজেলা, থানা ইউনিয়ন সকল কমিটি করেছে সে কিসের কমিটি করতে যায় কোন অধিকারে যায়। আমরা তার বহিস্কার দাবী করছি। সে দলের জন্য ক্ষতিকর। কারন সে এখন আওয়ামী লীগের পূরাতন সেই সমস্ত নেতাকর্মী দলে ভিরিয়ে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছে। আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিতে অভিযোগ জানাবো তাকে বহিষ্কার করার জন্য।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বাবু, সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট কামরুল আলম, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি এবং রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া, সদর বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন গাজী, সদস্য সচিব মজিবর রহমান, সাবেক পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি নোমান, সাধারণ সম্পাদক পাভেল রহমান প্রমুখ।