পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ছিলানী তাহিরপুর গ্রামে ২২মার্চ শুক্রবার রাত ১টা,৩০মিনিটে মো.মনির হোসেন (১৮)নামে এক যুবককে নিজ বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় কুপিয়ে জখম করে ফেলে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষ পার্শ্ববর্তী জয়পুর গ্রামের আল আমিন,(৩৮) ইজাজুল মিয়া(৩০) আলী হাসান,(২২)আহমদ কবির,(৩৫) সর্ব পিতামৃত গিয়াস উদ্দিন,ওয়াহিদ মিয়া,(২০) পিতাঃ শফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই যুবককে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে ৫জন জনকে আসামি করে তাহিরপুর থানায়,একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে,আহত যুবকের বড় ভাই মোঃ তোফায়েল আহমদ।
ভুক্তভোগী পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৯নং ওয়ার্ড ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের মৃতঃ মোছাব্বির মিয়ার ছেলে,তোফায়েল আহমদ(৩২) সঙ্গে ১নং আসামি
পার্শ্ববর্তী জয়পুর গ্রামের,আল আমিনের সাথে ঘটনার ৩/৪দিন পূর্বে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে ১নং আসামি,আল আমিন ও তোফায়েল আহমদ এর মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়।তখন জখমী মনির হোসেন উপস্থিত থাইক্যা ১নং আসামি আল আমিন কে ঝগড়াঝাটি থেকে ফিরাইয়া দিয়েছেন,তখন ১নং আসামি আল আমিন দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এর জের ধরে ২২মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতে ১টা ৩০মিনিটে,১নং আসামি আল আমিন,ইজাজুল মিয়া,আলী হাসান,আহমদ কবির,ও ওয়াহিদ মিয়াসহ বেশ কয়েকজন মিলে(জখমী) মনির হোসেন এর নিজ বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত অবস্থায় রাত আনুমানিক ১টা ৩০মিনিটে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে ফেলে রাখে।
পরে জখমীঃ মনির হোসেন এর ডাক চিৎকার শুনে তার আপন বড় ভাই তোফায়েল আহমদ ঘরের ভিতর থেকে তাড়াহুড়া করে বাইরে এসে দেখে,আল আমীন,ইজাজুল,আলী হাসান,আহমদ কবির,ওয়াহিদ মিয়াসহ মনির হোসেন কে দেশীয় অস্ত্র রামদা,দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে,পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জখমী,আহত মনির হোসেন কে রাতেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।এদিকে এই ঘটনায় মোঃ আল আমিন ও ইজাজুলসহ ৫জনকে আসামি করে জখমী মনির হোসেন এর বড় ভাই তোফায়েল আহমদ,বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন’
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি মো.শেখ নাজিম উদ্দীন বলেন,হামলার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।