তাহিরপুরে মাওঃ রফিকুল ইসলাম মাদানীর ওয়াজ মাহফিলে পুলিশের বাধা
- আপডেট সময় : ০৪:৪৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৭৯ বার পঠিত
আলোচিত ইসলামিক বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী ইস্যুকে কেন্দ্র করে ওয়াজ মাহফিলে আসা একদল বিক্ষুব্ধ জনতা সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।এ হামলায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হন।এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ জন হামলাকারীকে আটক করেছে।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অন্তত ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।পুলিশের মুহুর্মুহু ফাঁকা গুলিতে আশপাশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ঘামলা ও ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (১৯ ফেব্রুয়ারী)রোজ সোমবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে।
এদিকে হামলার ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত তাফসীরুল(কুরআন)মাহফিলের আয়োজক কমিটি হিলফুল ফুজুলের সংঘঠনের অনেক নেতাই আত্মগোপনে রয়েছেন ।
জানাযায়,তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারে হিলফুল ফুজুল পরিষদ বাদাঘাটের ব্যানারে (১৯ ফেব্রুয়ারী)সোমবার ও ২০ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার) দুইদিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করেন।
এতে সোমবার রাতে আলোচিত ইসলামিক বক্তা, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে মাহফিলস্থলে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন আয়োজকরা। কিন্তু তাতে প্রশাসনের অনুমতি মেলেনি। যদিও রাত বারোটার দিকে মাওলানা মাদানি মাহফিলস্থলের বাইরে বাদাঘাট বাজারে অবস্থান করছিলেন বলে শোনা যাচ্ছিল।পরে এ নিয়ে আয়োজকদের সঙ্গে প্রশাসনের অনেক দেন-দরবার চলে।শেষ পর্যন্ত বিষয়টিতে সমাধানে না আসায় আয়োজক কমিটি তাদের মাহফিল এদিনের মতো সমাপ্ত ঘোষণা করে,এবং মাহফিলে আসা জনতাকে বাড়িতে চলে যাওয়ার অনুরোধ করে।
এদিকে মাহফিল সমাপ্ত ঘোষণা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আগত লোকজন।পরে বিক্ষুদ্ধ জনতা নানা শ্লোগান ধরে বাজারের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে।একপর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ জনতার একটি অংশ বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে ও ভাংচুর চালায়। ভাংচুরকারীরা তদন্ত কেন্দ্রের বাঁশের বেড়া ও সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এসময় ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।এসময় কোন হতাহতের ঘটনার কোন খবর এ নিউজ লিখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই নামজুল বাদি হয়ে হামলাকারী ১২জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলে ও তিনি জানান।