ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

তানোরের নারায়নপুর স্কুলে কম্পিউটার ক্লাস হয় না

সোহানুল হক পারভেজ-রাজশাহী:
  • আপডেট সময় : ০২:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩ ১৩৮ বার পঠিত

রাজশাহীর তানোরের বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) নারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মুঞ্জয়ারা বেগম নিজেই কম্পিউটার চালাতে পারেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ মুঞ্জজুয়ারা ম্যাডাম কম্পিউটার চালাতে না পারায় তারা দীর্ঘদিন ধরে কম্পিউটার শিক্ষা (হাতে-কলমে) অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

তারা বলেন, সরেজমিন তদন্ত করলেই এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। এছাড়াও স্কুুুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেয়া হয় না।এঘটনায় এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে অদক্ষ শিক্ষককে অপসারণ করে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে গত ৩ আগষ্ট বৃহস্প্রতিবার এলাকাবাসি ডাকযোগে স্থানীয় সাংসদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়রা বলছে, শিক্ষক মুঞ্জুয়ারা কম্পিউটার পরিচালনা করতে না পারলেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে বসে বসে সরকারি বেতন-ভাতাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে যেটা নীতিমালা পরিপন্থী।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, নীতিমালায় বলা আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার শিক্ষককে ওয়েবসাইট তৈরীসহ (অনলাইন)-এর যাবতীয় কাজ করতে হবে।এছাড়াও কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালায় স্পষ্ট বলা আছে সরকার অনুমোদিত চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি {নেকটার}, জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি {নেকটার বগুড়া}, ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি মেহেরপুর, যুবউন্নয়ন অধিদপ্তর {মশরপুর নওগাঁ} এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট অর্জনকারীদের এমপিওভুক্ত করা যাবে বলে জানান ডিআইএ কর্মকর্তারা। অথচ মুুুুঞ্জুয়ারা তেমন কম্পিউটার পরিচালনা করতে না পারায় স্কুলের সিংহভাগ কাজ বাইরের কম্পিউটার দোকান থেকে করতে হয়। এতে একদিকে প্রতিষ্ঠানের যেমন অতিরিক্ত অর্থ খরচ হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি প্রতিষ্ঠানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাইরের মানুষের কাছে চলে যাচ্ছে।

শিক্ষার্থী রবিউল, আনারুল, সুফিনা বলেন, তাদের স্কুলে কখনই হাতে কলমে কম্পিউটার বিষয়ে পড়ানো হয় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, কয়েকটি পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে স্কুলের উন্নয়নে ৫ লাখ টাকা দেয়া হয়েছিল। কিন্ত্ত একটি টাকারও উন্নয়ন কাজ না করে প্রধান শিক্ষক এসব টাকা নয়ছয় করেছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী বলেন, কম্পিউটার শিক্ষক সব কাজ পারে না এই অভিযোগ সঠিক নয়,তবে স্কুলে কম্পিউটার রুম না থাকায় বাইরের দোকান থেকে কাজ করতে হয়, যেটা অনেক স্কুল করে থাকে। আর কিভাবে হয় কারা দেয় সেটা সবাই জানে স্কুলের ফান্ডে কোনো টাকা দেয়া হয়নি।এবিষয়ে কম্পিউটার শিক্ষক মুুুুঞ্জুয়ারা বলেন, কম্পিউটারের দু একটা জটিল কাজ বাইরে থেকে করা হয সত্য, তবে ক্লাস না নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।

এবিষয়ে স্কুলের সভাপতি কাউসার আলী বলেন,তিনি নামেই সভাপতি স্কুলের কোনো বিষয়ে তাকে সেইভাবে কিছু জানানো হয় না। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তানোরের নারায়নপুর স্কুলে কম্পিউটার ক্লাস হয় না

আপডেট সময় : ০২:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

রাজশাহীর তানোরের বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) নারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মুঞ্জয়ারা বেগম নিজেই কম্পিউটার চালাতে পারেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ মুঞ্জজুয়ারা ম্যাডাম কম্পিউটার চালাতে না পারায় তারা দীর্ঘদিন ধরে কম্পিউটার শিক্ষা (হাতে-কলমে) অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

তারা বলেন, সরেজমিন তদন্ত করলেই এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। এছাড়াও স্কুুুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেয়া হয় না।এঘটনায় এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে অদক্ষ শিক্ষককে অপসারণ করে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে গত ৩ আগষ্ট বৃহস্প্রতিবার এলাকাবাসি ডাকযোগে স্থানীয় সাংসদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়রা বলছে, শিক্ষক মুঞ্জুয়ারা কম্পিউটার পরিচালনা করতে না পারলেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে বসে বসে সরকারি বেতন-ভাতাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে যেটা নীতিমালা পরিপন্থী।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, নীতিমালায় বলা আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার শিক্ষককে ওয়েবসাইট তৈরীসহ (অনলাইন)-এর যাবতীয় কাজ করতে হবে।এছাড়াও কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালায় স্পষ্ট বলা আছে সরকার অনুমোদিত চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি {নেকটার}, জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি {নেকটার বগুড়া}, ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি মেহেরপুর, যুবউন্নয়ন অধিদপ্তর {মশরপুর নওগাঁ} এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট অর্জনকারীদের এমপিওভুক্ত করা যাবে বলে জানান ডিআইএ কর্মকর্তারা। অথচ মুুুুঞ্জুয়ারা তেমন কম্পিউটার পরিচালনা করতে না পারায় স্কুলের সিংহভাগ কাজ বাইরের কম্পিউটার দোকান থেকে করতে হয়। এতে একদিকে প্রতিষ্ঠানের যেমন অতিরিক্ত অর্থ খরচ হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি প্রতিষ্ঠানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাইরের মানুষের কাছে চলে যাচ্ছে।

শিক্ষার্থী রবিউল, আনারুল, সুফিনা বলেন, তাদের স্কুলে কখনই হাতে কলমে কম্পিউটার বিষয়ে পড়ানো হয় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, কয়েকটি পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে স্কুলের উন্নয়নে ৫ লাখ টাকা দেয়া হয়েছিল। কিন্ত্ত একটি টাকারও উন্নয়ন কাজ না করে প্রধান শিক্ষক এসব টাকা নয়ছয় করেছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী বলেন, কম্পিউটার শিক্ষক সব কাজ পারে না এই অভিযোগ সঠিক নয়,তবে স্কুলে কম্পিউটার রুম না থাকায় বাইরের দোকান থেকে কাজ করতে হয়, যেটা অনেক স্কুল করে থাকে। আর কিভাবে হয় কারা দেয় সেটা সবাই জানে স্কুলের ফান্ডে কোনো টাকা দেয়া হয়নি।এবিষয়ে কম্পিউটার শিক্ষক মুুুুঞ্জুয়ারা বলেন, কম্পিউটারের দু একটা জটিল কাজ বাইরে থেকে করা হয সত্য, তবে ক্লাস না নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।

এবিষয়ে স্কুলের সভাপতি কাউসার আলী বলেন,তিনি নামেই সভাপতি স্কুলের কোনো বিষয়ে তাকে সেইভাবে কিছু জানানো হয় না। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।