ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

ঢাকা-১৯ আসনে আঃ লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম

মাসুদুর রহমান রুবেল, ঢাকা:
  • আপডেট সময় : ০৭:০২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪৬ বার পঠিত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঢাকা-১৯ (সাভার ও আশুলিয়া) আসনে আঃ লীগের মনোনয়ন চান আশুলিয়া থানায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর)দুপুরে আশুলিয়া প্রেসক্লাব চত্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজ দলের হয়ে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা প্রকাশ করেন। তবে দল যাকে মনোয়ন দিবে দলের প্রতি শ্রদ্ধশীল হয়ে তার হয়েও কাজ করার কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে এই অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ও পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান- ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়মূলক কর্মকান্ডও তুলে ধরেন।

কেন নির্বাচনে আসতে চাচ্ছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১৯ আসনের একজন মনোনয় প্রত্যাশী। সাভার পৌরসভা ও সাভারের তিনটি ইউনিয়ন এবং আশুলিয়া থানা এলাকার পাচঁটি ইউনিয়ন মিলে ঢাকা-১৯ সংসদীয় এলাকা। এই আসনে সাভার পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়ন মিলে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার। অন্যদিকে আশুলিয়ার পাচঁটি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৬ হাজার। তার মধ্যে ধামসোনা ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজারের কিছু বেশি। আমাদের এই অঞ্চলটি শিল্প অঞ্চল। প্রতিবার বিএনপির প্রার্থী এই অঞ্চল থেকেই হয়। আমি মনে করি আওয়ামী লীগের প্রার্থী যদি আশুলিয়া থানা থেকে দেওয়া হয়। তবে আগামী নির্বাচন অতন্ত প্রতিদন্ডীতামূলক একটি নির্বাচন হবে। আর আমাকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মনোনয় দেওয়া হয় বিএনপির যে কোনো প্রার্থীর সাথে নির্বাচন করে আমি জয়ী হতে পারবো। আমার উপর আমাদের নেত্রীবৃন্দদের আস্থা রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, সাভার আশুলিয়ার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। উন্নয়নের পরিবর্তন আমি নির্বাচিত হওয়ার দুই বছরেই আমুল পরিবর্তন আপনারা লক্ষ্য করবেন।

তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অতন্ত গণত্রান্ত্রিক রাজনৈতিক একটি সংগঠন। গণতন্ত্রে প্রতিযোগীতা থাকে এটিই স্বাভাবিক। প্রতিযোগীতা যেনো প্রতিহিংসায় পরিনত না হয় সেটিই হচ্ছে বিবেচ্চ বিষয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন আমি বিশ্বাস করি আমার দলের নেতা কর্মীরা আমার জন্য কাজ করবেন। যদি আমাকে মনোনয়ন না দেওয়া হয়, যাকে দেওয়া হবে তার জন্য কাজ করে যাবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে কোনা সিদ্ধান্ত আমরা মাথা পেতে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।

তিনি বলেন, বয়সে নবীন কিংবা প্রবীন এর ওপরে সংসদ সদস্য হওয়া নির্ভর করে না। যার গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে দল তাকেই মনোনয় দেবেন। বাংলাদেশে একঝাক তরুণ বয়সে নবীন সংস সদস্য ইতিমধ্যে হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে ইনশাল্লাহ। নবীন এবং প্রবীনের সমন্নয়েই সংসদ পরিচালিত হয়।

মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আশুলিয়া থানায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া তিনি পরপর দুইবার নির্বাচিত জনবহুল স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।

ট্যাগস :

ঢাকা-১৯ আসনে আঃ লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম

আপডেট সময় : ০৭:০২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঢাকা-১৯ (সাভার ও আশুলিয়া) আসনে আঃ লীগের মনোনয়ন চান আশুলিয়া থানায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর)দুপুরে আশুলিয়া প্রেসক্লাব চত্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজ দলের হয়ে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা প্রকাশ করেন। তবে দল যাকে মনোয়ন দিবে দলের প্রতি শ্রদ্ধশীল হয়ে তার হয়েও কাজ করার কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে এই অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ও পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান- ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়মূলক কর্মকান্ডও তুলে ধরেন।

কেন নির্বাচনে আসতে চাচ্ছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১৯ আসনের একজন মনোনয় প্রত্যাশী। সাভার পৌরসভা ও সাভারের তিনটি ইউনিয়ন এবং আশুলিয়া থানা এলাকার পাচঁটি ইউনিয়ন মিলে ঢাকা-১৯ সংসদীয় এলাকা। এই আসনে সাভার পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়ন মিলে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার। অন্যদিকে আশুলিয়ার পাচঁটি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৬ হাজার। তার মধ্যে ধামসোনা ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজারের কিছু বেশি। আমাদের এই অঞ্চলটি শিল্প অঞ্চল। প্রতিবার বিএনপির প্রার্থী এই অঞ্চল থেকেই হয়। আমি মনে করি আওয়ামী লীগের প্রার্থী যদি আশুলিয়া থানা থেকে দেওয়া হয়। তবে আগামী নির্বাচন অতন্ত প্রতিদন্ডীতামূলক একটি নির্বাচন হবে। আর আমাকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মনোনয় দেওয়া হয় বিএনপির যে কোনো প্রার্থীর সাথে নির্বাচন করে আমি জয়ী হতে পারবো। আমার উপর আমাদের নেত্রীবৃন্দদের আস্থা রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, সাভার আশুলিয়ার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। উন্নয়নের পরিবর্তন আমি নির্বাচিত হওয়ার দুই বছরেই আমুল পরিবর্তন আপনারা লক্ষ্য করবেন।

তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অতন্ত গণত্রান্ত্রিক রাজনৈতিক একটি সংগঠন। গণতন্ত্রে প্রতিযোগীতা থাকে এটিই স্বাভাবিক। প্রতিযোগীতা যেনো প্রতিহিংসায় পরিনত না হয় সেটিই হচ্ছে বিবেচ্চ বিষয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন আমি বিশ্বাস করি আমার দলের নেতা কর্মীরা আমার জন্য কাজ করবেন। যদি আমাকে মনোনয়ন না দেওয়া হয়, যাকে দেওয়া হবে তার জন্য কাজ করে যাবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে কোনা সিদ্ধান্ত আমরা মাথা পেতে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।

তিনি বলেন, বয়সে নবীন কিংবা প্রবীন এর ওপরে সংসদ সদস্য হওয়া নির্ভর করে না। যার গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে দল তাকেই মনোনয় দেবেন। বাংলাদেশে একঝাক তরুণ বয়সে নবীন সংস সদস্য ইতিমধ্যে হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে ইনশাল্লাহ। নবীন এবং প্রবীনের সমন্নয়েই সংসদ পরিচালিত হয়।

মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আশুলিয়া থানায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া তিনি পরপর দুইবার নির্বাচিত জনবহুল স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।