বাঁশ আর ভাঙাচোরা কিছু টিনে জোড়াতালি দেওয়া ঘরের বেড়া। মরিচা ধরা টিনের চালায় পলিথিনের ছাউনি। জীর্ণ এ ঘরে নিঃসন্তান ৬৬ বছরের বৃদ্ধের বসবাস । বৃষ্টি এলেই দুর্ভোগ বাড়ে। টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে ভেসে যায় ঘর। একটু কোনাও ফাঁকা পাওয়া যায় না, যেখানে শুয়ে ঘুমানো যায়।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড গোসাইবাড়ি গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর মোঃ আব্দুল শেখ (৬৬) পিতা মৃত কালিমুদ্দি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, সেই সাথে প্যারালাইসিসে বা' হাতটি অবস হওয়ায় হাত দ্বারা কোন কাজ করতে পারছে না।
বর্তমানে বৃষ্টির মৌসুমে একটি ভাঙ্গা ঘরে জীবন যুদ্ধে অতি কষ্টে দিন যাপন করছেন। তার বয়স ৬৬ হলেও সে বয়স্কভাতা থেকে বঞ্চিত,তার স্ত্রী বিবিজন জানান, আমার স্বামীর রোগে আক্রান্ত হওয়ায় সে কোনো কাজ করতে পারছেনা। আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা পাই তাই দিয়ে কোনমতে সংসার চলে,আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি আমাদের বসবাসের জন্য একটা ঘর করে দেন এটাই চাওয়া।
তার প্রতিবেশী ভাতিজা রফিকুল সহ স্থানীয় অনেকেই সংবাদকর্মীকে জানান, আব্দুল শেখ খুবই অভাবে আছে। তাদের একটাই ঘর, বৃষ্টি হলে রাতে বসে রাত যাপন করে। তিনি আরো বলেন আব্দুল শেখের মতো এত অভাবি আমাদের এলাকায় নাই।তাই আমরা তার জন্য একটি সরকারি ঘর দেওয়ার জন্য উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট অনুরোধ করছি। মুঠোফোনে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সিব্বির আহমেদকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন অসহায় পরিবারটিকে সার্বিক সহযোগীতা করবেন বলে তিনি আশ্বস্থ করেছেন।