আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনের পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। তার সমর্থনে নির্বাচনি এলাকার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা একাট্টা হয়েছেন। বোয়ালমারী, মধুখালীর পর আলফাডাঙ্গা যুবলীগের নেতাকর্মীরাও গতকাল দোলনের পক্ষে যোগ দিয়েছেন। ফলে সময় যত বাড়ছে, দোলনের দিকেই ভোটের পাল্লা ভারী বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
তাদের দাবি, এরই মধ্যে নির্বাচনি প্রচারণায় প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মো. আব্দুর রহমানের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন দোলন। এই স্বতন্ত্র প্রার্থী সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনি এলাকা। সব মিলিয়ে সময় যতো গড়াচ্ছে, ততোই যেন দোলনকে ঘিরে বাড়ছে নির্বাচনের আমেজ। তার শান্তি আর উন্নয়নের অঙ্গীকারে কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের উচ্ছ্বাস-আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে।
এরই মধ্যে ফরিদপুর-১ আসনের সাধারণ মানুষের ভাগ্য বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন। তিনি এমপি হলে আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলায় শান্তি আর উন্নয়ন নিশ্চিত করবেন। তাই ঈগল মার্কার প্রার্থী দোলনকে বিজয়ী করতে দোলনের প্রচারে প্রতিদিনই বাড়ছে মানুষ, সমর্থন দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরাও। প্রত্যেক গণসংযোগ ও পথসভায় এলাকাবাসী দোলনের ঈগল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে রাখে গোটা এলাকা। ঈগল প্রতীকের প্রার্থী দোলন এই তিন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে সর্বসাধারণের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পাশাপাশি ভোটারদের কাছে ঈগল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। এসময় তার সঙ্গে দেখা করতে জমায়েত হন হাজারো জনতা। তারা দোলনকে সমর্থন এবং ঈগল প্রতীকে ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নে একটি জানাজায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনি গণসংযোগ শুরু করেন দোলন। পরে মধুখালী উপজেলার কামারখালী বাজারে গণসংযোগ ও পথসভা এবং গাজনা ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন তিনি। এরপর দোলন যান বোয়ালমারী উপজেলায়। সেখানে তিনি কাদিরদী বাজার, মরিশালা বাজার, সাতৈর বাজারে গণসংযোগ ও পথসভা করেন। পরে বোয়ালমারীর জয়পাশা এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। একইসঙ্গে এদিন দোলন অংশ নেন বোয়ালমারীর কলিমাঝি বাগডাঙ্গা এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলে।
এর আগে, নির্বাচনি প্রচারের চতুর্থ দিনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মরিচবাজার এলাকায় নির্বাচনি কার্যালয়টির উদ্বোধন করেন কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দোলন। ভোটের মাঠে নামার পর থেকে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলনের পক্ষে প্রতিদিনই গণজোয়ার তৈরি হচ্ছে। তিন উপজেলায় একের পর এক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তার পক্ষে কাজ করার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন। কৃষক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দোলন ক্লিন ইমেজ, জনসমর্থন আর সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতাসহ সব দিকেই এগিয়ে রয়েছেন। গত দুই দশক ধরে আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলায় নানান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে হেভিওয়েট প্রার্থী দোলনই এমপি নির্বাচিত হবেন বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর ফরিদপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঈগল প্রতীক বরাদ্দ পান দোলন। বিকেলে আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামে বাবা ওবায়দুর রহমানের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে ফরিদপুরে দোলনের প্রচার শুরু হয়। স্থানীয়দের কাছে আরিফুর রহমান দোলন ফরিদপুর-১ আসনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্য জননেতা। প্রপিতামহ কাঞ্চন মুন্সীর নামে ফাউন্ডেশন গড়ে দুই দশক ধরে তিনি আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার মানুষের জন্য নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে আসছেন।
দেশজুড়ে খ্যাত অনুসন্ধানী সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন নিজের হাতে গড়া জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যম ঢাকা টাইমস, ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম ও সাপ্তাহিক এই সময়ের সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি ব্যবসায় উদ্যোক্তা হিসেবেও সফল। একাধিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে তিনি হাজারো মানুষের জীবিকার সংস্থান করেছেন।