জনতার হাতে ‘মস্কো বাহিনী’র প্রধান মস্কো আটক
- আপডেট সময় : ০৭:০৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ ১০৬ বার পঠিত
শেরপুর সদরে আন্তঃজেলা ডাকাত দল ‘মস্কো বাহিনী’র প্রধান মস্কো ওরফে মস্কো চোরাকে চোরাই গরুসহ আটক করে থানা পুলিশে সোর্পদ করেছে জনতা। সন্ধায় শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৪ জানুয়ারি রবিবার ভোর রাতে চোরাই গরু নিয়ে যাওয়ার পথে সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীমুড়া উত্তর পাড়া হতে একটি গরুসহ মস্কোকে আটক করে স্থানীয়রা।
মস্কো (৫৯) সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত শহর মিয়ার ছেলে।
যোগিনীমুড়া গ্রামের ইউপি সদস্য মুন্নাফ আলী বলেন, গেল রাতে মস্কো যোগিনীমুড়া উত্তর পাড়ার সূতারবাড়ি, জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে চুরির উদ্দ্যেশ্যে হানা দেয়। কিন্তু তাতে সে ব্যার্থ হয়। স্থানীয়রা টের পেয়ে খুঁজতে থাকে। এরপর একপর্যায়ে উত্তর পাড়ার মৃত ইফাজ উদ্দিনের ছেলে ও মস্কোর খালাতো ভাই এমদাদ ওরফে এনদাল মিয়ার ঘরে সে লুকিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা এনদালের ঘরের ভিতরে লুকিয়ে থাকা মস্কোকে খুঁজে পায়। লোকজন জড়ো হলে পাশেই একটি কলাবাগানে গরু দেখতে পায় স্থানীয়রা, মস্কো জানায় গরুটি অন্য গ্রাম হতে চুরি করে নিয়ে এসেছে। এদিকে রাতেই এনদাল মিয়া সটকে পড়ে। আর ভোর হলে পাশ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের ইন্দিলপুর হতে গরুটির মালিক এসে গরুটি চিহ্নিত করে । এরপর দুপুরে মস্কোকে সদর পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
রামকৃষ্ণপুর, যোগিনীমুড়া, মোবারকপুর, কালীগঞ্জ ও জেলখানা মোড়ের একাধিক লোকজন জানায়, প্রায় ৪০ বছর যাবত মস্কো ডাকাতি ও চুরির সাথে জড়িত। অর্ধশতবার পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও অভ্যাস ছাড়েনি। জেলে কতবার গেছে, এর হিসেব মস্কো নিজেও জানে না। নব্বই দশকের গোড়ার দিকে ‘মস্কো বাহিনী’ গড়ে তুলেন তিনি। এবং সেসময় গ্রেফতার হয়ে জেলে গিয়ে বের হয়েই জেলা কারাগারের কর্মকর্তাদের কোয়াটারে চুরি করে। নব্বই দশক থেকে সামরিক শাসন সময় পর্যন্ত অই বাহিনী এ অঞ্চলে ডাকাতি নিয়ন্ত্রণ করে। একসময় মস্কো বাহিনী চিঠি দিয়েও ডাকাতি করেছে। রামকৃষ্ণপুরে সর্বপ্রথম বিল্ডিং বাড়ি সে নির্মাণ করে কেবল প্রমাণ করার জন্য; চোরের বাড়িতেও বিল্ডিং হয়। পরবর্তীতে চরশেরপুর ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন সুরুজ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ডাকাতির কাজ বিরত রাখে। এরপর কয়েকবছর যাবত সদর থানার সোর্স হিসেবে থানায় নিয়মিত যাতায়াত করে আসছে। তারা আরও জানায়, যেহেতু থানার সোর্স হিসেবে কাজ করে তাই সে যেকোনো মূহুর্তেই বের হয়ে আসবে এবং পুরোনো পেশায় ফিরে আসবে।
স্থানীয়দের দাবি, মস্কোকে আইনের আওতায় আনলে অন্তত তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা চুরি ও ডাকাতি থেকে বিরত থাকবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: এমদাদুল হক বলেন, ‘ মস্কোকে পুলিশ আটক করেছে এবং চুরির গরুটিও জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে।