আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এখন তারা যা শিখবে, দেখবে, বুঝবে, তাই- জানবে এবং সেভাবে গড়ে উঠবে। আর সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে নিজের অধিকারের পাশাপাশি দায়িত্ব-কর্তব্যগুলো সম্পর্কে ধীরে ধীরে সচেতন হতে হবে।
দেশের বৃহত্তম যৌনপল্লি এবং আশপাশ এলাকার শিশুদের অংশগ্রহণে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সমাজে শিশুর অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বেসরকারী সংস্থা মুক্তি মহিলা সমিতির মাধ্যমে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া চাইল্ড ক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর গড়ে তোলা হয় চাইল্ড ক্লাব।
২৮৪ ক্ষুদে ভোটারের ভোটে আগামী এক বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বিজয় ১০১ ভোট পেয়ে এবং ১৬০ ভোট পেয়ে সেক্রেটারী নির্বাচিত হয়েছে সানজিনা সানজু।
দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাঠ চত্বরে মুক্তি মহিলা সমিতির আয়োজনে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে উৎসব মুখর পরিবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং এরমধ্যেই এক পাশে লাইন ধরে চলে ভোট দেওয়া। প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রতিক গলায় ঝুলিয়ে সবার কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন অপর পাশে সুশৃঙ্খল পরিবেশে লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে ভোটাররা। নির্বাচনের এটা একটা মডেল।
আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানায়, অবহেলিত শিশুদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে অধিকার নিশ্চিত করতে মুক্তি মহিলা সমিতি শিশুদের জীবন মান উন্নয়নে প্রশিক্ষন প্রদান, শিশু সম্মেলনের আয়োজন করা, নাট্যদল গঠন, শিশু পিয়ার এডুকেটর তৈরী, শিশু পরিস্থিতি দেখার জন্য গবেষনা টিম তৈরী, বই প্রকাশ, লাইব্রেরীর সহযোগিতা, খেলার সামগ্রী ব্যবহার এবং অংশগ্রহণমূলক বিভিন্ন আলোচনা সভা শিশুদের মাঝে প্রদান করে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় একজন চেয়ারম্যান, একজন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন সেক্রেটারী, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ, একজন ক্রীড়া সম্পাদক ও তিনজন সদস্যসহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধিত্ব নির্বাচিত করা হবে। আগামী এক বছরের জন্য (৩১ ডিসেম্বর-২০২৪) এই কমিটির মেয়াদকাল থাকবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম এবং প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক শফিউল্লা মন্ডল, দৌলতদিয়া ঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল কুমার।
সেফ স্পেসের দুটি কক্ষে ভোট কেন্দ্র করা হয়। ৩৮৪ জন ভোটারের মধ্যে ১৮৭ জন ছেলে এবং ২৩৭ জন মেয়ে সদস্য রয়েছে। সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানের মধ্যে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।
সাংস্কৃতি অনুষ্টান পরিচালনা করেন তাবাসসুম আখি, সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম, কর্মসূচি পরিচালক আতাউর রহমান মুঞ্জু।