ফরিদপুরের সালথায় ছাত্র-জনতা ও রাজনীতিবিদদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে থানায় অবস্থানরত সকল অফিসার ফোর্স পুরো দস্তুর স্বাভাবিক পুলিশি কার্যক্রমে সূচনা করেছেন। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ও র্যালীর মাধ্যমে থানার কর্মকাণ্ড শুরু করা হয়।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকালে ছাত্র-জনতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সালথা থানার সামনে এসে জড়ো হন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান (পিপিএম) এর নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ও র্যালীর মাধ্যমে থানার কর্মকাণ্ড শুরু করা হয়।
এ সময় সালথা থানার সকল পুলিশ সদস্য থানার গেটে থেকে বের হয়ে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ও মিষ্টি খাওয়ান।
এ সময় সালথা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা আসাদ মাতুব্বর, রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইশারত হোসেন, সালথা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপিত অ্যাডভোকেট জাহিদ হাসান লাভলু, শাহীন মাতুব্বর, সালথা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আজাদ, মো: শাহিনুর রহমান, ফরিদপুর জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. সুজন ফকির, সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মামুন চৌধুরী, সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, সালথা উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি কালাম বিশ্বাস, যুবদল নেতা হাসান আশরাফ, এনায়েত হোসেন, মিরান হোসাইন, সাফিকুল ইসলাম, খোকন, রাসেল, ছাত্র দল নেতা সাইফুল ইসলাম, সাব্বির আহমেদ রাকিবসহ সালথা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ ছাত্রছাত্রী ও জনতা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদ মাতুব্বর বলেন, সালথা থানায় কর্মরত পুলিশ ভাইয়েরা জনসাধারণের জান-মাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের কার্যক্রম শুরু করায় সালথা উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাদেরকে অন্তরের অন্তর স্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় তিনি সালথা উপজেলাবাসির উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সকলেই অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা মেনে চলবেন ও সালথা থানা পুলিশকে সহযোগিতা করবেন।
থানার পুলিশি কার্যক্রম স্বাভাবিক করায় ফুলেল শুভেচ্ছার জবাবে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান (পিপিএম) বলেন, ‘পুলিশের কিছু বিপথগামী সদস্যের কারণে আজ আমরা এ ধরনের চরম একটা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছি। ভবিষ্যতে আমরা সকল প্রকার প্রভাব মুক্ত থেকে জনগণের পুলিশ হতে চাই, জনগণের সেবায় নিজেদের যাবতীয় আইনি কার্যক্রম সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করতে চাই। একটি সুন্দর ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর তারই অংশ হিসেবে আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী পেশাগত দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে পালন করে যেতে চাই। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশে জনগণের পুলিশ হতে সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি। এ সময় তিনি পুলিশের কিছু বিপথগামী সদস্যের অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি আরো বলেন, সালথা উপজেলাবাসি আমার আত্মার আত্মীয়ের পরিচয় দিয়েছেন, তাদের এই সহযোগিতা আমরা সারা জীবন মনে রাখবো। আসুন আমরা সকলে মিলে এই সালথা উপজেলাকে সংঘাত মুক্ত ও আইন শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে এক হয়ে কাজ করি।