‘জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’— এমন সরকারি নির্দেশ থাকলেও রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সাদিপুর থান্দার পাড়া গ্রামে ফসলি কৃষি জমিগুলো পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। অপরিকল্পিতভাবে খনন করা হচ্ছে একের পর এক পুকুর। পুকুর খনন বন্ধে স্থানীয়রা খননকারীদের বাঁধা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। রাতের অন্ধকারে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি অসাধু চক্র।
অবশেষে সাদিপুর থান্দার পাড়া গ্রামবাসী পুকুর খনন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাদিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মনজুর আলী ও মাটি ব্যবসায়ী ডাবলু ও বুলবুল ফসলি জমিতে গভীর পুকুর খননের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ফসলি জমিতে পুকুর খনন করতে গিয়ে এক কৃষকের পুরনো পুকুরের পাড় কেটে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। ফসলি জমিতে পুকুর খনন করায় সাদিপুর বিলের কৃষি হুমকিতে পড়েছে। এ অবস্থায় কৃষকদের বাঁচাতে পুকুর খনন বন্ধ করা জরুরি।
স্থানীয় কৃষক জয়নাল, ওহাব, সাহাবুদ্দিনসহ একাধিক কৃষক বলেন, আমরা কিছু অসাধু মাটি ব্যবসায়ীর কাছে অসহায় হয়ে পড়েছি। গ্রামবাসীর বাঁধা উপেক্ষা করে তারা ফসলি জমিতে পুকুর খননের পায়তারা করছে। আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানজুরা মোশাররফ বলেন, সাদীপুর গ্রামে পুকুর খনন হচ্ছে মর্মে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়মের বাইরে গিয়ে পুকুর খননের সুযোগ নেই।