ঙ্গামারীর খুনি শফি ঢাকায় গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ০৮:৩৫:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩ ১১৬ বার পঠিত
দু’জন শুধু পূর্ব পরিচিত বললেও ভুল হবে, তাদের সম্পর্কও ভালো। স্মার্ট ফোন ফেরত দিতে সুপারি বাগানে শাহিনকে ডেকে নিয়ে যায় শফি। এরপর শাহিনের কাছে থাকা চাকুটি ধারালো কিনা তা দেখতে নিয়ে, সেটি দিয়েই তাকে খুঁচিয়ে হত্যা করে। এরপর পাশের বাড়ি থেকে বস্তা এনে মরদেহ ভরে ধান ক্ষেতে ফেলে ঢাকা পালান তিনি।শফিকে গ্রেপ্তারের পর তার জবানবন্দির বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন।
গত রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বারইটারী আঙ্গারীয়া সনাতনপাড়ার ধানক্ষেত থেকে শাহিন আলমের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার হয়। সুরতহালে মরদেহের মাথা, ঘাড়, কানের পাশসহ কয়েকটি স্থানে ধারালে চাকুর আঘাত দেখতে পায় পুলিশ।
নিহত শাহিন সদর ইউনিয়নের বারইটারী মাজারপাড়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। ঢাকায় পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন। সম্প্রতি তার শ্বশুর মারা যান। তখন ঢাকা থেকে শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখানে কয়েকদিন থেকে মাজারপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে আসেন।
ঘটনার দিন নিহতের ভাই সিদ্দিক আলম বাদী হয়ে শফিকুল ইসলাম তার মা সখিনা, মামা নূর মোহাম্মদকে আসামি করে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন।
পুলিশ শফির মামা নূর মোহাম্মদ, মা সখিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার দুপুরে ঢাকার মিরপুর থানার দোয়ারীপাড়া থেকে শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শফি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আঙ্গারিয়া এলাকার জালেমু্দ্দিন ওরফে আলিমুদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, খুন হওয়া শাহিন ও শফি ইসলামের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। তারা একসঙ্গে মাদকসেবন করতেন। শাহিনের স্মার্ট ফোন নেন শফি। গত ১৩ অক্টোবর (ঘটনার দিন) সন্ধ্যায় ফোন ফেরত নিতে শাহিনকে বারাইটারী সনাতনপাড়ায় একটি সুপারি বাগানে ডাকেন। দু’জনে সেখানে নেশা করেন। শাহিনকে অতিরিক্ত নেশা করান শফি।
পুলিশ আরও জানায়, মোবাইল ফোন ফেরত দেয়া নিয়ে কথার মাঝে চাকুটি বের করেন শাহিন। সেটি ধারালো কিনা দেখতে চেয়ে নেন শফিকুল। প্রথমে মাথার পেছনে আঘাতের পর উপর্যপুরি আঘাত করে শাহিনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন শফি। চাকুটি একটি ডোবায় ফেলে পাশের বাড়ি থেকে বস্তা এনে মরদেহের মাথার দিক ভরিয়ে ধানক্ষেতে রাখেন। লোকজন যাতে টের না পায় তাই ধানগাছগুলো দাঁড় করিয়ে দেন।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, মোবাইল ফোন ফেরত দেয়া নিয়ে কথার একপর্যায়ে শাহিনের চাকু নিয়ে তাকে আঘাত করে অতঃপর মৃত্যু নিশ্চিত করে। ঘটনায় সে একাই জড়িত ছিল বলে সে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। ব্যবহৃত চাকুরী পরিত্যক্ত স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়। আসামিকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।