গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের বেপারী পাড়া হতে মুন্সী বাজার মুখী মরা পদ্মার উপরে নির্মিত ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙ্গে যাওয়ায় যান চলাচলসহ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল। সম্প্রতি বর্ষায় নদীতে পানি বৃদ্ধি, নদীতে স্রোত এবং অতি বৃষ্টিতে রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। দীর্ঘ ৬ মাস ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিল এলাকাবাসির। নিজ এলাকার জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন মো. নুরুজ্জামান মুন্সি জামাল নামের এক তরুণ সমাজসেবক। তিনি ওই এলাকার মুন্সি পরিবারের সন্তান।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী মানুষদের নিয়ে নিজে উপস্থিত থেকে রাস্তা মেরামত করছেন তিনি। ট্রাক ভর্তি বালু এনে চটের বস্তায় ভরে ভাঙ্গন স্থান মেরামত করতে দেখা যায় শ্রমিকদের। রাস্তা মেরামতের সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করছেন তিনি। এসময় ভুক্তভোগী গ্রামবাসী মো. কোব্বাত সরদার, নিজাম মোল্লা, জাহিদ সরদার, মোজাম্মেল শেখ, খলিল মুন্সী, গফুর মুন্সীসহ এলাকাবাসী অতি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, বেপারী পাড়া হতে মুন্সি বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি ব্রিজের পর থেকেই দীর্ঘ ৬/৭ মাস ভেঙ্গে খারাপ অবস্থায় আছে। এই এলাকায় একটি বাজার ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। রাস্তাটি ভাঙ্গা থাকায় মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মেম্বারকে বার বার বলার পরেও কোনো পদক্ষেপ নেননি তিনি। দীর্ঘদিন রাস্তাটি খারাপ থাকায় চলাচলে অনেক ভোগান্তি হচ্ছিল। মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমাদের এলাকার সন্তান জামাল মুন্সির কাছে বলা মাত্রই সাথে সাথে সে রাস্তাটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়। আমরা গ্রাম ও এলাকাবাসি তার কাছে কৃতজ্ঞ।
এসম্পর্কে মো. নুরুজ্জামান মুন্সি জামাল জানান, নিজের এলাকার রাস্তাটি বেশ কয়েকমাস ধরে ভেঙ্গে গেছে। মেরামতের জন্য এলাকাবাসী মেম্বারকে বারবার বলার পরেও সমাধান হয়নি। যেহেতু আমি এই এলাকার সন্তান। এলাকার সন্তান হিসাবে আমারো কিছুটা দায়িত্ব আছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকে নিজেই রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছি। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আর এই নির্বাচনে এলাকার উন্নয়নের কথা চিন্তা করে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রস্তুতি নিতে এলাকার মানুষদের সাথে মতবিনিময় সভায় রাস্তার ভোগান্তির কথা শুনা মাত্রই মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া আমরা পারিবারিক ভাবে এ এলাকার ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় অনুদান দিয়ে আসছি।