গণসংযোগকালে সাবেক এমপির ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
- আপডেট সময় : ০৮:০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩ ৩৩৯ বার পঠিত
রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনে গণসংযোগকালে জাতীয় যুবসংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের ভুটকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে গঙ্গাচড়ায় জাতীয় পার্টির দুটি গ্রুপ একে অপরের মুখোমুখি অবস্থান করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গঙ্গাচড়া বাজার এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, রংপুর-১ গঙ্গাচড়া আসনের এমপি জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কৃত মসিউর রহমান রাঙ্গা। ওই আসনে এবার জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাতিজা সাবেক এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ নির্বাচন করার প্রস্ততি নিচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকেলে রংপুর-১ আসনের বুড়িরহাট এলাকায় গণসংযোগ শেষে তিনি গঙ্গাচড়া বাজার হয়ে কোলকোন্দ, বড়বিল ও আলমবিদিতর ইউনিয়নে গণসংযোগে বের হন। আসিফের গণসংযোগের খবরে রাঙ্গার নেতাকর্মীরা গঙ্গাচড়া বাজারে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ গঙ্গাচড়া বাজারে অবস্থান নেয় এবং আসিফের গাড়িবহরকে গঙ্গাচড়া বাজারে ঢুকতে না দিয়ে গঙ্গাচড়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে বড়বিল ইউনিয়ন ও আলমবিদিতর ইউনিয়নের দিকে যেতে বলে। আসিফ তার গাড়িবহরে থাকা নেতাকর্মীদের নিয়ে গঙ্গাচড়া সরকারি কলেজ হয়ে সদর ভুটকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গণসংযোগ করার পর বড়বিল মন্থনার দিকে যেতে ধরলে রাঙ্গার নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আসিফের ওপর হামলা চালায়। এতে আসিফের দুটি গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায় এবং ৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় আসিফের নেতাকর্মীরা ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।
হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ বলেন, স্থানীয় এমপি রাঙ্গা তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার গণসংযোগকালে হামলা চালিয়েছে। এতে আমার ৫ জন নেতাকর্মী আহতসহ দুটি গাড়ির কাঁচ ভেঙে ফেলা হয়েছে। শুক্রবার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার কথা বলে আমাকে গঙ্গাচড়া বাজারে পুলিশ গণসংযোগ করতে দেয়নি। এমপি রাঙ্গা পুলিশকে তার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। যতই বাঁধা আসুক আমাকে দমিয়ে রাখা যাবে না।
এ ব্যাপারে রংপুর গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, ভুটকা স্কুলের সামনে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফের গণসংযোগে ছোট একটা ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আমি গঙ্গাচড়া আসনে তিনবারের সংসদ সদস্য। একবার প্রতিমন্ত্রী ছিলাম। গতবার আড়াই লাখ ভোট পেয়েছি, গঙ্গাচড়ার সবাই আমার লোক। এ ছাড়া আমি জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলাম। আসিফ আমার সমপর্যায়ের নেতা না। গঙ্গাচড়া সরকারি কলেজের সামনে তার সঙ্গে এলাকাবাসীর হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তারা পালিয়ে যাচ্ছিল, পেছন থেকে নাকি উত্তেজিত এলাকাবাসী ঢিল ছুড়েছে। সে অহেতুক এ ঘটনার সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে কথা বলছে। যদি তার ওপর হামলা হয়ে থাকে তবে পুলিশ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কিংবা আমার লোকজনের কোনো সম্পর্ক নেই।