পাটকে বাংলাদেশের সোনালী আঁশ বলা হয় । পাট বিক্রি করে প্রতি বছর সরকার কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। কিন্তু বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন ও ভরা বর্ষায় কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাট চাষীরা বিপাকে পড়েছে।
এবছর লক্ষ্যমাত্রা থেকেও বেশি পরিমাণ চাষীরা পাট আবাদ করেছে। কিন্তু পাটের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। জেলার ৫০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ করায় এবছর উপজেলায় ৪ হাজার ৫'শ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকেও অনেক বেশি।
কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় স্থানীয় ৮ হাজার কৃষক জমি থেকে পাট কেটে জাগ দেওয়ার জায়গা না পাওয়ায় জমিতে পাট শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছরে আষাঢ় শ্রাবণ মাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় জমি থেকে পাট কেটে কৃষকরা জমিতে আবার ধান আবাদ করে। এ বছর শ্রাবনের মাঝামাঝিতে বৃষ্টি না পাওয়ায় কৃষকরা পাট চাষ করে বিপাকে পড়েছে। অধিকাংশ খাল, বিল, নদীনালা ও ডোবা জায়গাগুলোতে পানি না থাকায় পাট চাষীদের পাট যেন এখন গলায় ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাই কোথাও জাগ (পচান) দেওয়ার জায়গা।
স্থানীয় কৃষি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বলেছেন, সময় মত পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা পাট নিয়ে বেশ সমস্যায় ভুগছে। এমনকি আগাম ধান উৎপাদনে ও তারা পিছিয়ে পড়ছে।
এদিকে কুমারখালী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, জুন মাসে কুমারখালীতে ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও জুলাই মাসে ১৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত বছরের থেকে অনেক কম।