খাগড়াছড়িতে বন্যায় অবনতি পাহাড় ধ্বসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
- আপডেট সময় : ১০:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩ ১২৫ বার পঠিত
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী নদীর পানি বেড়েই চলেছে আর থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যার পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি শুরু হয়েছে পাহাড় ধ্বস। পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলা সদরের শান্তিনগর, মুসলিমপাড়া, ফুটবিল, কলেজপাড়া শান্তিনগর, গোলাবাড়ি এবং গঞ্জপাড়া এলাকা পানির নিছে ডুবে গেছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। এরই মধ্যে টানা বর্ষণে শহরের সবুবাগ, শালবাগান, কুমিল্লাটিলা, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধ্বসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝুকিতে রয়েছে হাজারো পরিবার।
এদিকে, দীঘিনালা উপজেলায় মাঈনী নদীর পানিতে ডুবে গেছে, মেরুং-লংগদু সড়ক। মঙ্গলবার সকাল থেকে সকল প্রকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। মেরুং ইউনিয়নের একমাত্র বাজারটিও এখন পানির নিছে। দীঘিনালা উপজেলার ইউএনও আরফাতুল আলম জানান, মাঈনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এখানে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে শতাধীক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
বন্যাকবলিত ও পাহাড় ধ্বস হওয়া এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখছেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। তিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট এবং নির্দিষ্ট আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজ গুলোতে যাহাতে মানুষ আশ্রয় নিতে পারে খুলে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে শুধুকেবল খাগড়াছড়ি পৌর শহরে ৩০টি অতি ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার বসবাস করে। আর পুরো জেলায় পাহাড় ধ্বসের ঝুকি নিয়ে বসতী গড়েছেন প্রায় পয়ত্রিশ হাজার পরিবার। বন্যা কবলিত ও পাহাড়ের ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে মাইকিং করছে ফায়ার সাভির্স ও পৌরসভা।