কেশবপুরে স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে চাকুরী দেওয়ার নামে টাকা আত্নসাৎ ও চেক প্রতারনার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৭:২৭:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৮৩ বার পঠিত
কেশবপুরে এক স্বাস্থ্য সহকারীর বিরুদ্ধে চাকুরি দেওয়ার নামে টাকা আত্নসাৎ ও চেক প্রতারনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আজমল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়নের বুড়িহাটি গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে আজমলকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গত এক বছর আগে একই উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামের সাজ্জাত অলী সরদারের ছেলে মজিদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারি প্রতারক ইউনুচ ৩ লক্ষ টাকা চুক্তিতে নগদ ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করে ।
বাকী আড়াই লক্ষ টাকা চাকুরির যোগদান পত্র পাওয়ার পরে পরিশোধ করতে হবে বলে চুক্তিবদ্ধ হয়। টাকা লেনদেনের সময় ঐ স্বাস্থ্যকর্মী বলেছিল যদি এক মাসের মধ্যে চাকুরিতে যোগদান করাতে না পারি তাহলে গ্রহনকৃত টাকা তিনি চাওয়ামাত্র ফেরৎ দিবে। তার কথামতো চাকুরী না পেয়ে তিনি ঐ স্বাস্থ্যকর্মীকে টাকা ফেরত দিতে বলে। সে তাকে কেশবপুর সোনালী ব্যাংক শাখার ৫০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করে। যার নং-এস-আই-১০ ৫০০৭৯৭৪। পরবর্তিতে তিনি অত্র ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংকে কর্তব্যরত কর্মকর্তা তাকে জানান এই একাউন্ডে কোন টাকা নেই। পরে তিনি ব্যাংক থেকে এই চেকটি ডিজঅনার করেন।
চাকুরীর নামে টাকা অত্নসাৎ ও চেক প্রতারনার জন্য এই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আজমল হোসেন গত সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর-২৩ কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।এবিষয় স্বাস্থ সহকারী ইউনুচের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার ব্যবহারিত মোবাইলে বার বার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন এ প্রতিনিধি কে বলেন,ইউনুচ এর বিরুদ্ধে এ রকম অনেক অভিযোগ আছে অভিযোগের বিষয়টি যশোর সিভিল সার্জনকে জানানো হবে।
এব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন জানান,এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।