কেশবপুরে নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার
- আপডেট সময় : ০৫:২১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৩১ বার পঠিত
কেশবপুরে নারীদের ক্ষমতায়ন ও সংসার চালানোর জন্য অর্থনৈতিকভাবে নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার।
নারীদেরকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়াসহ বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ দিয়ে।
নারীদের সংসারে স্বশ্ছলতা ফেরাতে তিনি নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।তার হাত ধরে হরিহর নদ পাড়ের উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধ্যকুল গ্রামের জেলে পাড়ার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নারীরা অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন।
জানা গেছে উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের জেলে পাড়ার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে ছিলেন তারা।
ওই এলাকার অধিকাংশ মানুষের বসতভিটা ছাড়া চাষাবাদ করার কোনো জমি নেই।
সেখানকার নারীদের সাথে উপজলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার উঠান বৈঠক করেন।
সেখানে জেলে পাড়ার নারীরা স্বামীর আয়ের পাশাপাশি তারাও বাড়তি কিছু করে সংসারে আরও বেশি স্বচ্ছলতা ফেরাতে সেখানে জেলা আগ্রহ প্রকাশ করেন। জেলে পাড়ার নারীদের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুদা আক্তার
ঐ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হরিহর নদে ভাসমান বেড তৈরি করার মাধ্যমে বিষমুক্ত সবজি ও মশলা আবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। নদের কচুরিপানাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয় ৩০টি ভাসমান বেড। ১০ মিটার লম্বা ও ১ মিটার প্রস্হের এসব ভাসমান বেড দেওয়া হয় জেলে পাড়ার নারীদের। ভাসমান বেডে লালশাক,পালং,সবুজ শাক,কচু,লাউ,লতিরাজ,ধুন্দল,মিষ্টিপোল্লা,কুলফি,পোঁয়াজ ও রসুন এসব পরিচর্যার জন্য দুটি নৌকাও দেওয়া হয়েছে নারীদের।
জেলে পাড়ার নারীরা জানান,ভাসমান বেড়ে বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ করে নিজেদের খাওয়ার পাশাপাশি সবজি বিক্রি করে সংসার চালানো যাবে।
ভাসমান বেডে তারদেকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। এদিকে গত বুধবার ৪ অক্টোবর সকালে মধ্যেকুল গ্রামের জেলে পাড়ার ১৬ জন নারীদের মাঝে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুদা আক্তার চুই ঝাল ও আম গাছের চারা বিতরণ করে ছিলেন। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার এ প্রতিনিধি কে জানান,
হরিহর নদ পাড়ের মধ্যকুল গ্রামের জেলে পাড়ার মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক নিম্ন।সেখানকার নারীদের সাথে কথা বলে হরিহর নদে ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভাসমান বেডে বিষমুক্ত সবজি ও মশলার চাষ করে ঐ পাড়ার ২০টি পরিবার নিজেদের সংসারের চাহিদা মোটানোর পাশাপাশি বিত্রুি করেও স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এছাড়া নারীদের ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিকভাবে
স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন গাছের চারা বিতরণসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।