কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসের প্রযুক্তিগত সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষী জমিতে তুলা চাষের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।
আর এই তুলা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষিসম্প্রসারণ অফিসের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় মাঠ পর্যায়ে প্রান্তিক চাষীদের নিয়ে করতে হয়েছে মত বিনিময় ও উঠান বৈঠক। তুলা একটি লাভজন ফসল হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করতে বিগত কয়েক বছর ধরে উপজেলা কৃষি অফিসের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে। ফলে প্রতি বছর এ উপজেলায় তুলার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম খরচে বেশী ফলন ও বেশী লাভ পাওয়ায় দিনে দিনে তুলা চাষে ঝুকছে প্রান্তীক চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে,তুলা চাষে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রাথমিক ভাবে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নকে বেঁচে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেশবপুর ৬নং সদর ইউনিয়ন,১নং ত্রিমোহিনী ও ১০ নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন। সব থেকে বেশী তুলা আবাদ হয়েছে সাতবাড়িয়া ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে। এর বাইরেও অন্যান্য ইউনিয়নেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে হচ্ছে তুলা আবাদ।
৪২ শতকের ১বিঘা জমিতে তুলা চাষ করতে চাষীদের খরচ হয় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা আর এই খরচের বিপরীতে ১বিঘা জমিতে ১৮ থেকে ২৪ মণ পর্যন্ত তুলা পাওয়া যায়। প্রতি মণ তুলার বর্তমান বাজার মুল্য ৩ হাজার ৮০০শত টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা। কৃষকরা ১বিঘা জমিতে তুলা চাষ করলে খরচ খরচা বাদে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা লাভবান হতে পারে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার এ প্রতিনিধি কে বলেন, কেশবপুরে তুলার আবাদকে সম্প্রসারিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তুলা একটি লাভজন ফসল তাই চাষীদের বেশী বেশী তুলা আবাদের জন্য আমরা পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা আশানুরুপ ফলাফলও পেয়েছি। গত বছরের তুলনায় আবাদ হয়েছিলো ২২ হেক্টর জমিতে এবং এবছর তা বেড়ে দাড়িয়েছে ২৫ হেক্টরে।