ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

কেশবপুরে তুলা চাষে ঝুকছে কৃষকরা

আজিজুর রহমান-কেশবপুর(যশোর):
  • আপডেট সময় : ০১:২৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩ ১০৫ বার পঠিত

কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসের প্রযুক্তিগত সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষী জমিতে তুলা চাষের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

আর এই তুলা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষিসম্প্রসারণ অফিসের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় মাঠ পর্যায়ে প্রান্তিক চাষীদের নিয়ে করতে হয়েছে মত বিনিময় ও উঠান বৈঠক। তুলা একটি লাভজন ফসল হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করতে বিগত কয়েক বছর ধরে উপজেলা কৃষি অফিসের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে। ফলে প্রতি বছর এ উপজেলায় তুলার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম খরচে বেশী ফলন ও বেশী লাভ পাওয়ায় দিনে দিনে তুলা চাষে ঝুকছে প্রান্তীক চাষীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে,তুলা চাষে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রাথমিক ভাবে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নকে বেঁচে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেশবপুর ৬নং সদর ইউনিয়ন,১নং ত্রিমোহিনী ও ১০ নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন। সব থেকে বেশী তুলা আবাদ হয়েছে সাতবাড়িয়া ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে। এর বাইরেও অন্যান্য ইউনিয়নেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে হচ্ছে তুলা আবাদ।
৪২ শতকের ১বিঘা জমিতে তুলা চাষ করতে চাষীদের খরচ হয় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা আর এই খরচের বিপরীতে ১বিঘা জমিতে ১৮ থেকে ২৪ মণ পর্যন্ত তুলা পাওয়া যায়। প্রতি মণ তুলার বর্তমান বাজার মুল্য ৩ হাজার ৮০০শত টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা। কৃষকরা ১বিঘা জমিতে তুলা চাষ করলে খরচ খরচা বাদে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা লাভবান হতে পারে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার এ প্রতিনিধি কে বলেন, কেশবপুরে তুলার আবাদকে সম্প্রসারিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তুলা একটি লাভজন ফসল তাই চাষীদের বেশী বেশী তুলা আবাদের জন্য আমরা পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা আশানুরুপ ফলাফলও পেয়েছি। গত বছরের তুলনায় আবাদ হয়েছিলো ২২ হেক্টর জমিতে এবং এবছর তা বেড়ে দাড়িয়েছে ২৫ হেক্টরে।

ট্যাগস :

কেশবপুরে তুলা চাষে ঝুকছে কৃষকরা

আপডেট সময় : ০১:২৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসের প্রযুক্তিগত সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষী জমিতে তুলা চাষের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

আর এই তুলা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষিসম্প্রসারণ অফিসের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় মাঠ পর্যায়ে প্রান্তিক চাষীদের নিয়ে করতে হয়েছে মত বিনিময় ও উঠান বৈঠক। তুলা একটি লাভজন ফসল হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করতে বিগত কয়েক বছর ধরে উপজেলা কৃষি অফিসের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে। ফলে প্রতি বছর এ উপজেলায় তুলার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম খরচে বেশী ফলন ও বেশী লাভ পাওয়ায় দিনে দিনে তুলা চাষে ঝুকছে প্রান্তীক চাষীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে,তুলা চাষে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রাথমিক ভাবে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নকে বেঁচে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেশবপুর ৬নং সদর ইউনিয়ন,১নং ত্রিমোহিনী ও ১০ নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন। সব থেকে বেশী তুলা আবাদ হয়েছে সাতবাড়িয়া ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে। এর বাইরেও অন্যান্য ইউনিয়নেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে হচ্ছে তুলা আবাদ।
৪২ শতকের ১বিঘা জমিতে তুলা চাষ করতে চাষীদের খরচ হয় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা আর এই খরচের বিপরীতে ১বিঘা জমিতে ১৮ থেকে ২৪ মণ পর্যন্ত তুলা পাওয়া যায়। প্রতি মণ তুলার বর্তমান বাজার মুল্য ৩ হাজার ৮০০শত টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা। কৃষকরা ১বিঘা জমিতে তুলা চাষ করলে খরচ খরচা বাদে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা লাভবান হতে পারে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার এ প্রতিনিধি কে বলেন, কেশবপুরে তুলার আবাদকে সম্প্রসারিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তুলা একটি লাভজন ফসল তাই চাষীদের বেশী বেশী তুলা আবাদের জন্য আমরা পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা আশানুরুপ ফলাফলও পেয়েছি। গত বছরের তুলনায় আবাদ হয়েছিলো ২২ হেক্টর জমিতে এবং এবছর তা বেড়ে দাড়িয়েছে ২৫ হেক্টরে।